Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর মৃত্যুতে নেটিজেনদের শোক

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ১:১১ পিএম

চলে গেলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। রোববার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবীণ এই সাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দুই বাংলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনসহ সাধারণ মানুষ।

মৃত্যুকালে বুদ্ধদেব গুহর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে তিনি নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন। তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’। এরপর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’ একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও তার ছিল অবাধ বিচরণ।

বুদ্ধদেব গুহর মৃত্যুতে তার স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম লেখকের সাথে একটি ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেন, বুদ্ধদেব গুহ চলে গেলেন। বরিশাল ও রংপুরে ছোটবেলার অনেক স্মৃতির কথা বলেছিলেন শেষ দেখার সময় করোনাকাল শুরুর আগে। শেষ জীবনে আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশে না আসার। একবার তারিখ করেও আসতে পারলেন না শরীর খারাপের কারণে। বিখ্যাত এই লেখক সমানভাবে দুই বাংলায় জনপ্রিয়।’

শোক প্রকাশ করে পশ্চিম বাংলার লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায় লিখেন, ‘সাতসকালে একি দুঃসংবাদ! বাংলা সাহিত্যের রাজপুত্র বুদ্ধদেব গুহ পোস্ট কোভিড শারীরিক জটিলতায় প্রয়াত! ঋজুদা থেকে শুরু, তারপর মাধুকরী, সম, কোয়েলের কাছে, বাবলি... বুনো আদিমতার সঙ্গে শহুরে গন্ধ মেশাতে তিনি ছিলেন পারদর্শী! সুগায়ক, পেশাদার চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই পূর্বসূরির প্রতি রইল প্রণাম ও শ্রদ্ধা!’

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় পরিচালক ও অভিনেতা রাজ চক্রবর্তী লিখেন, ‘সুকুদার কাছে এতদিনে ছুটি এসে পৌঁছল। ম্যাকলাস্কিগঞ্জের মহুয়া আর করৌনজির গন্ধে ভারী হয়ে থাকবে প্রকৃতি। ছুটির সঙ্গে মাধুকরী আজ। ভালো থাকবেন বুদ্ধদেব গুহ। প্রণাম।’

শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিক মাহফুজ মিশু লিখেন, ‘তাঁর লেখায় উপন্যাসে অন্যভাবে ধরা দিত প্রেম, যা আন্দোলিত করতো মানব মন। হলুদ বসন্ত, বাবলি কিংবা একটু উষ্ণতার জন্য - বুদ্ধদেব গুহ’র লেখা পড়ে প্রেমে মন উদ্বেলিত হয় নি, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। সব ছাপিয়ে মানব মনের, প্রেমের শ্বাশ্বত এক উপন্যাস তাঁর “মাধুকরী”। সেই বুদ্ধদেব গুহ চলে গেলেন। আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা আমার আমাদের জীবন যৌবনকে আন্দোলিত করা মাধুকরী’র স্রষ্টাকে।’

সাইয়েদ মেহেদী হাসান লিখেন, ‘আমার আত্মার আত্মীয় চলে গেলেন। শ্রদ্ধা হে শতাব্দীর কথক। এবার বিশ্রাম নিন জীবন পথিক বুদ্ধদেব গুহ।’

নিলুফার মাহমুদ তানি লিখেন, ‘বাংলা সাহিত্য জগতে আরেকটি উজ্জ্বল নক্ষত্র নিভে গেল। চিরবিদায়, বুদ্ধদেব গুহ... আমার প্রিয় উপন্যাসিক।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শোক

২০ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ