বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ফলে জেলার ৯টি উপজেলার ২শ৩০টি চর-দ্বীপচর নদী সংলগ্ন গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দী হয়েছে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ।পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় সোমবার সকালে ধরলার পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। তিস্তা দুধকুমোর, গঙ্গাধর সহ জেলার সব কটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুুঁই করছে। পাানি বন্দী মানুষ অনেকেই উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।বিছিন্ন হয়ে পড়েছে চর ও দ্বীপচরের আভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে সদর উপজেলার হোলখানার সারডোব কালুয়ারচর সহ কয়েকটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে সারডোব এলাকার বাঁধটি। ধরলার প্রবল স্রোতের পানি বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ঢোকা শুরু করেছে। বাঁধটি ভাঙ্গলে এলাকাবাসী আবারও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
জেলা ত্রান ও পূনবার্সন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে বন্যার্তদের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ২শ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে২৬.৮৪ সে.মি,ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৩.৯৩ সে.মি, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে২৯.০৫ সেন্টিমিটার, আর ব্রক্ষপুত্র নুুনখাওয়া পয়েন্টে ২৬.১৫ সে.মি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।