পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, শহীদ জিয়া, জেড ফোর্স সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী নিজেই মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করেছেন। এজন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, ‘৭১-এ কোলকাতায় আমোদ-ফুর্তিকারীদের কাছে শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিতে হবে না। শহীদ জিয়ার সার্টিফিকেট তিনি নিজেই। পাকহানাদার বাহিনীর ক্র্যাকডাউনের মুখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন সীমান্ত পাড়ি দিতে ব্যস্ত, শহীদ জিয়া তখন নিজের জীবন ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে “উই রিভোল্ট” বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধ ঘোষণা এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানিয়েছিলেন।
রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ওলামা দলের নেতৃবৃন্দের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এমনার সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ জিয়া যদি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বিদ্রোহ ও যুদ্ধ ঘোষণা না দিতেন তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন হতো। শুধু তাই নয়, জেডফোর্স গঠন করে সম্মুখ সমরে তিনি পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কুড়িগ্রামের রৌমারীতে যুদ্ধকালীন সময়ে প্রথম বেসামরিক প্রশাসন চালু করেছিলেন। যারা শহীদ জিয়ার এই অবদানকে নির্লজ্জভাবে অস্বীকার করে তারা মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করে। অথচ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে জেডফোর্সের এই গৌরব গাঁথা সাহসী যুদ্ধের জন্য তৎকালীন সরকারের আমলে তাঁকে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ খেতাব “বীর উত্তম” দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ বেতার ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে স্ট্যালিনগ্রাদ যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছিলেন। আওয়ামী লীগাররা জেডফোর্সকে ভূয়া বাহিনী হিসেবে আখ্যায়িত করে নিজেরাই জনগণের কাছে ভূয়া প্রমাণিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এবং বর্তমানেও আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় বাকশাল এবং কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। শহীদ জিয়াই স্বাধীনতার মূল চেতনা তথা দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বাক-ব্যক্তি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা, স্বর্নিভরতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশ পরিচালনা ও করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণের দৃষ্টি ও সমালোচনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতিতে লিপ্ত রয়েছে।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ওলামা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন খলীলী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ক্বারি সিরাজুল ইসলাম, মাও: এনামুল হক মাজিদী, মাও: সাখাওয়াত হোসেন মীর, মাও: মামুন সিদ্দিকী, ক্বারী এখলাস উদ্দিন বাবুল, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ক্বারী রফিকুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক মাও: জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক মাও: তাজুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক মাও: মাসুম বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাও: জাকারিয়া, ওলামা দল নেতা মাও: খায়রুল ইসলাম, মাও: জিয়াউল হাসান, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য মাও: আশরাফ আলী, মাও: শাহজাহান কামাল, মাও: গাজী শিবলী, মাও: মীর হোসেন, মাও: শফিকুল ইসলাম, মাও: আতিকুল ইসলাম, মাও: নিজাম উদ্দিন মেজবাহ্, মাও: মাসুদুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।