Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানিস্তানে উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাবে জার্মানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

আফগানিস্তানের পরিস্থিতির আচমকা অবনতির আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা তা প্রমাণ করে দিলো। এমন উত্তেজনার মাঝে সেদিন রাতে জার্মান বিমানবাহিনীর বিমান শেষবারের মতো জার্মান নাগরিক ও স্থানীয় আফগান কর্মীদের নিয়ে কাবুল ত্যাগ করলো। সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সূত্র অনুযায়ী এ৪০০এম বিমানটি আহতদের উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। পরিকল্পনা না থাকা সত্ত্বেও সেটি সন্ধ্যায় কাবুলে অবতরণ করে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার জানিয়েছেন, সব জার্মান কূটনীতিক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরো তিনটি উড়াল কাবুল ত্যাগ করে। প্রত্যেকটি বিমানের গন্তব্য ছিল উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আগেই সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। শেষ উড়াল সম্পর্কে তিনি বলেন, সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে এই অভিযান ছিল সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে বিপজ্জনক। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, অন্যান্য দেশের জন্যও কাবুলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।

ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার আরো বলেন, সামরিক বাহিনীর শেষ উড়ালের মাধ্যমে কাবুল থেকে উদ্ধারের কাজ মোটেই শেষ হয় নি। কোনো বিরতি ছাড়াই এই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে। কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে কাবুল ত্যাগ করতে ইচ্ছুক মানুষদের প্রস্থান তরান্বিত করা হচ্ছে। জার্মান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবারহার্ড সর্ন জানিয়েছেন, গত ১৬ই আগস্ট থেকে জার্মান সেনাবাহিনী ৪৫টি দেশের মোট ৫,২০০ মানুষকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৪,২০০ আফগান ও ৫০৫ জন জার্মান নাগরিক। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, আফগানিস্তানে যে সব মানুষের প্রতি জার্মানির দায়িত্ব রয়েছে, তাদের নিরাপদে রাখার কাজ এখনো চলছে। সে দেশে বসবাসরত সব জার্মান নাগরিকের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রেখে চলেছে। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রস্থানের ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলির জার্মান দূতাবাসগুলিকে জার্মান সেনাবাহিনী ও সরকারের জন্য কর্মরত সেই সব আফগান কর্মীদের জার্মানিতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগেই যাদের সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মাস রবিবার উজবেকিস্তান, পাকিস্তান ও তাজিকিস্তান সফরে যাচ্ছেন। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার জানিয়েছেন, জার্মান সরকার আফগান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য ও তালেবানের প্রতিশোধের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তার মতে, সেই লক্ষ্যে তালেবানের সঙ্গে সংলাপ চালানো জরুরি।

কাবুলে মোতায়েন জার্মানিসহ অন্যান্য দেশের বাহিনী মার্কিন সেনাবাহিনীর সুরক্ষার উপর নির্ভরশীল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১শে আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অটল থাকার পর অন্যান্য দেশও তার আগে পাততাড়ি গুটানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। ডিপিএ, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ