Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাঞ্জশিরের বীর আহমেদ মাসুদের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১১:১১ এএম

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কৌশলগত পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আহমেদ মাসুদের সমঝোতা হয়েছে। আফগানিস্তানের জাতীয় বীর হিসেবে খ্যাত সাবেক মুজাহিদ কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার তালেবানের এ সমঝোতা হয়।

মাসুদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য কাবুল থেকে তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকারে ছুটে গিয়েছিল। সাবেক আফগান সংসদ সদস্য আব্দুল হাফিজ মানসুরের বরাত দিয়ে আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা আওয়া এ খবর জানিয়েছে। মানসুর বলেন, বৈঠকে দু’পক্ষ এই সমঝোতায় উপনীত হয়েছে যে, কেউ কারো অবস্থানে হামলা চালাবে না এবং পাঞ্জশিরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাবে। এর অর্থ হচ্ছে আপাতত পাঞ্জশির আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকছে।

কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, তালেবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আহমেদ মাসুদের এ বৈঠকে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তালেবানরা পুরো আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও পাঞ্জশির হচ্ছে একমাত্র দুর্গম পাহাড়ি প্রদেশ যার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে তালেবানরা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। তালেবান প্রতিনিধি দল এমন সময় আহমেদ মাসুদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঞ্জশির প্রদেশ সফরে গেছে যখন এর আগে তালেবানরা ঘোষণা করেছিল একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই তারা ওই এলাকা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটাবে।

রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তালেবানরা সারা দেশে যুদ্ধ অবসানের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু আহমেদ মাসুদ তালেবানবিরোধী প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করায় তালেবানরা সংলাপের মাধ্যমে বিরাজমান যে কোনো বিরোধ মীমাংসার আহ্বান জানায়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তালেবানরা প্রায় পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ধারনা করা হচ্ছে তারা যুদ্ধ কিংবা বল প্রয়োগের মাধ্যমে পাঞ্জশির উপত্যকা পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় না। এ কারণে তালেবানরা আহমেদ মাসুদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ওই এলাকায় যাতে একটি সমঝোতায় পৌঁছা সম্ভব হয়। সূত্র : পার্সটুডে, ইয়েনি শাফাক



 

Show all comments
  • মুহাম্মদ ফিরোজ আলম ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩৮ এএম says : 0
    বেসরকারি শিক্ষা প৾তিস্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে NTRCA এর সেচ্ছাচারিতা বিষয়ে একটি প৾তিবেদন আশা করছি*
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Masum Billah ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১১:৪৮ এএম says : 0
    বীর নয়, বিদ্রোহী।
    Total Reply(0) Reply
  • ezana huda ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪০ পিএম says : 0
    India will be displeased to this message.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nazim Uddin ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫১ পিএম says : 0
    এই আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে এতদিন কোথায় ছিল? তালেবানরা যুদ্ধ করে বিদেশিদের দখল থেকে দেশকে দখল মুক্ত করল। আর তখনই এই হারামজাদা বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছে। এই হারামজাদা দেশদ্রোহী।
    Total Reply(0) Reply
  • Hamidul Islam ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫২ পিএম says : 0
    তালেবান ভাইদের প্রতি আমার আহবান মাসুদ যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে তাকে জ্যান্ত মাটিতে পুতে দিবেন। ঐ ব্যাটা প্রকৃত মোনাফেক খমতা লোভি
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১:০৭ পিএম says : 0
    বুদ্ধি থাকলে সব কিছুই সংক্ষেপ করা যাবে,মাসুদকে ঐ অঞ্চলের গভর্নর বানাইয়া দিলেই চলবে,পরবতীর্তে সে ভালো ভাবে থাকলে দায়িততে থাকবে অসুবিধা কীসের,আর যদি কথা না শুনে তবে পরবতীর্তে বেবসতা নিতে পারবে,এখন তালেবানদের শান্তি ভাবে সরকার গঠন করা জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr. Haroon ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৩:৪১ পিএম says : 0
    এটা মোটামুটি বিচক্ষণতার পরিচয় । কেননা এই মুহূর্তে যুদ্ধ ঠিক নয় । স্থিতিশীলতা জরুরী ।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr. Haroon ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৩:৪১ পিএম says : 0
    এটা মোটামুটি বিচক্ষণতার পরিচয় । কেননা এই মুহূর্তে যুদ্ধ ঠিক নয় । স্থিতিশীলতা জরুরী ।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৫:৪৪ পিএম says : 0
    আল্লাহ দ্রোহী গাদ্দার মাসুদকে তুমি আল্লাহ তোমার কুদরতি শক্তি দিয়েও কে ধ্বংস করে দাও এই নর্দান অ্যালায়েন্স সবথেকে বড় শয়তান আফগানিস্তানের মধ্যে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ