Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কাবুলে হামলার দায় স্বীকার আইএসের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৯:৪৮ এএম

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে দুটি আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বৃহস্পতিবার ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে ১২ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে তালেবানও এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, এই হামলা আইএসেরই কাজ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বিমানবন্দরের কাছে পর পর দু’টি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে শিশু-সহ অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন আমেরিকান সেনা। জখম হয়েছেন দেড় শ'রও বেশি।
বিস্ফোরণের পরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় লাশের স্তূপ, বিমানবন্দরের বাইরের পরিখায় অসংখ্য লাশ ভাসছে। পরে বিমানবন্দরের কাছে ফের আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। রাতে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, বিস্ফোরণ হয়েছে অন্তত ৬টি। গুলির লড়াইও চলছে বলে খবর।

প্রথম বিস্ফোরণটি হয় হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘অ্যাবি গেটের’ সামনে। এই ফটক দিয়েই এখন বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকছেন দেশ ছাড়ার অনুমতি পাওয়া মানুষেরা। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় বিমানবন্দরের খুব কাছেই ব্যারন হোটেলের সামনে। এই হোটেলে এখন ব্রিটিশ নাগরিকেরা রয়েছেন। বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের পরে একাধিক দুষ্কৃতিকারীরা সেখানে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তাতেও অনেকে জখম হন।

২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে এক ঘটনায় সর্বোচ্চ মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার। ওই বছর আগস্টে আফগানিস্তানে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৩০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিলেন।

বিমানবন্দরের দিকে যাওয়া এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, আমার মনে হলো, আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে। শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। ঝড়ের মতো পলিথিনের ব্যাগগুলো উড়তে থাকে। মানুষের লাশ এবং শরীরের অংশ বাতাসে ভাসতে দেখেছি। মৃতদেহ, শরীরের অঙ্গ, বৃদ্ধ এবং আহত নারী-পুরুষ ও শিশুদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি।

তালেবানের সঙ্গে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির পর আফগানিস্তানে এই প্রথম মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল।
এ দিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তালেবান বলেছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা স্থানে বিদেশি সেনাদের উপস্থিতিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়েরও উচিত বেসামরিক আফগানদের লক্ষ্য করে এই হামলার নিন্দা জানানো। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Sultan Mahmud ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৬:২০ পিএম says : 0
    আই এস হলো এ যুগের খারিজী। চরমপন্থি খারিজীরা যেমনিভাবে ইসলামের ক্ষতি করে এবং হজরত আলী (রাঃ) কে হত্যা করে। আজকের আই এস ঠিক তেমনই করছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ