মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সমগ্র আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে গেলেও আফগানিস্তানের উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বত এর কাছাকাছি পঞ্চশির এলাকা তালিবানরা দখলে আনতে পারেনি। এখনো সেখানে আহমেদ মাসুদ ও নর্দার্ন অ্যালায়েন্স শেষ কথা। তবে এর মধ্যেই পাঞ্জশির উপত্যকাকে তালেবান বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার কথা ভাবছেন আহমদ মাসুদ। আর এর মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তানের ওপর তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যুদ্ধ করার মতো সম্পদের অভাব এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন না থাকায় তিনি তালেবানের সাথে 'নিষ্পত্তিতে' যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। টেলিগ্রাফের উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।
গত সোমবার তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করেছিলেন, তালিব যোদ্ধারা পাঞ্জশির ঘিরে ফেলেছে। শিগগিরই ওই এলাকা তাদের হাতে আসবে। তার আগে কাবুলের সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত তালেবান নেতা তথা হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিল হাক্কানি বলেন, ‘আহমদ মাসুদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র সংবরণে সায় দিয়েছেন।’ ৩২ বছরের মাসুদও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রক্তপাত এড়াতে তালেবানের সাথে তিনি আলোচনায় রাজি। যদিও এর মধ্যেই পাঞ্জশির, বাঘলান, পারওয়ানসহ কয়েকটি প্রদেশে তালেবান এবং নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের তীব্র লড়াইয়ের খবর সামনে এসেছিল।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল, তখনো পাঞ্জশির ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এছাড়া ১৯৯০-এর দশকে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো এই এলাকার ওপর তারা কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি।
মাসুদ গতকালও বলেছিলেন, তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ও তার বাহিনী মৃত্যুবরণ করবেন, কিন্তু তবুও আত্মসমর্পণ করবেন না।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সবকিছু পাল্টে গেছে। তালেবান বাহিনী আরো কাছাকাছি চলে আসায় মাসুদের পক্ষে আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ৩২ বছর বয়স্ক মাসুদ এখন তার ব্যক্তিগত সম্মান নিশ্চিত করতে পারলেই তালেবানের হাতে পাঞ্জশির তুলে দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাসুদের এক উপদেষ্টা বলেন, পাঞ্জশির তালেবানকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। তারা বিশাল বাহিনী। বর্তমান অবস্থা ১৯৮০-এর দশকের মতো নয়। তালেবানের হাতে যুদ্ধে পারদর্শী সৈন্যবাহিনী রয়েছে।
আহমদ মাসুদের বাবা আহমদ শাহ মাসুদ প্রায় আড়াই দশক আগে তালেবানবিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময়ও পাঞ্জশিরের দখল নিতে পারেনি তালেবান। ২০০১-এ টুইট টাওয়ার হামলার দু’দিন আগে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আল কায়দার মানববোমা হামলায় তিনি নিহত হন। আহমদের বাহিনী এবার উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানে তালেবানকে শক্ত প্রতিরোধের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।
পাঞ্জশির উপত্যকায় এখনো মাসুদ অনুগত ৬,০০০ তাজিক যোদ্ধা রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর। এ ছাড়া কয়েক হাজার আফগান সেনা এবং উজবেক ওয়ার লর্ড রশিদ দোস্তমের অনুগত মিলিশিয়া যোদ্ধারাও ছিল তালেবান প্রতিরোধের লড়াইয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাসুদ অস্ত্র সমর্পণ করলে গোটা আফগানিস্তানেই তালেবান নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ হবে। সূত্র : ডেইলি টেলিগ্রাফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।