Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তালেবান সময়সীমা বর্ধিত না করায় প্রত্যাহার নিয়ে জটিলতা বাড়ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকানদের সরিয়ে নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মরিয়া প্রচেষ্টা সোমবার আরও তীব্র হয়েছে। আমেরিকান বাহিনী প্রত্যাখ্যান অভিযান সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সময়সীমা বৃদ্ধি করতে তালেবানের প্রতি অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তালেবানরা সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রত্যাহার অভিযান নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগ ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বিপুল সংখ্যক আফগান, আমেরিকান এবং অন্যান্য জাতিসত্তার লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের তথ্য মতে, রোববার থেকে সোমবার অবধি ২৪ ঘন্টায় মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৪০০জন লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এখনও অনেক মানুষকে সড়িয়ে নেয়া বাকি থাকায় এবং সময় কম থাকায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, আমেরিকার সাথে কাজ করা আফগানদের বদলে শুধুমাত্র আমেরিকানদের সড়িয়ে নেয়ার প্রতিই মনোযোগ কেন্দ্রীভ‚ত করা হয়েছে। সোমবার, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে, মার্কিন পাসপোর্ট এবং গ্রিন কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য আমেরিকান কর্মকর্তারা কিছু সাবেক আফগান সামরিক দোভাষী বা অন্যান্য ঘনিষ্ঠ মার্কিন মিত্র, যাকে সড়িয়ে আনার জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। ওই কর্মকর্তাকে সংবাদটি প্রকাশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি, এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।
কর্মকর্তার বক্তব্যের সত্যতা আফগানদের সাথে সাক্ষাৎকার দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল যারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিমানবন্দরে এসেছিল। এছাড়া আমেরিকান ভেটেরান্স গ্রুপ এবং ঝুঁকিতে থাকা তালেবান দোভাষী এবং অন্যান্য আফগানদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার রাতে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট আফগানদের ফিরিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রশ্নের জবাবে এক বিবৃতিতে বিভাগটি বলেছে, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রস্থানকারী প্লেনে যতজন সম্ভব মানুষকে রাখা।’ এখনও কয়েক হাজার আমেরিকান এবং অনেক বেশি সংখ্যক আফগান যারা দুই দশকের যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছিলেন তারা রয়ে গেছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে, তারা এমন একটি রাজধানীতে আটকে আছেন যেখানে তালিবানদের ক্ষমতা আরও দৃঢ় করার লক্ষণ সোমবার সর্বত্র ছিল। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে তালেবানদের চেকপয়েন্টের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। আরও অনেক আফগান মিত্র এখনও দূরবর্তী শহর ও গ্রামে আটকে আছেন।
পেন্টাগন বলেছে, আটকে পড়া আমেরিকান নাগরিকদের বের করার জন্য কাবুলের কিছু নির্দিষ্ট স্থানে হেলিকপ্টার এবং সৈন্য মোতায়েন শুরু হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত দুটি ঘটনায় মোট ৩৫০ জন আমেরিকানকে তুলে নিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং সোমবার পর্যন্ত, পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, কাবুলে ৫ হাজার ৮০০ মেরিন এবং সৈন্য রয়েছে। রাজধানী তালেবানদের হাতে পতনের আগের দিন ১৪ আগষ্ট থেকে তারা এখন অবধি মোট ৩৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। কিন্তু কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, যেখানে সমস্ত ফ্লাইট সংগঠিত হচ্ছে, বিশৃঙ্খলা এবং সহিংসতা এখনও হাজার হাজার আফগানদের জন্য বের হয়ে আসা কঠিন করে তুলেছে। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ