মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রায় দুই দশক পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেয়ার পর ইতোমধ্যেই ২২ লাখ মানুষ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর চলমান সংঘাত এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের ভেতরে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৩৫ লাখ মানুষ। খবর বিবিসির। তালেবানরা গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়। এরপর থেকেই মূলত দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়ে যায়। প্রতিদিনই বিভিন্নভাবে দেশ ছাড়তে আফগানরা। তবে এই মুহ‚র্তে কত মানুষ দেশ ছাড়ছে তা বলা যাচ্ছে না। প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং এখন তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। আর কেউ আফগান ছেড়ে যাক সেটাও চায় না তারা। জানা গেছে, শুধুমাত্র ব্যবসায়ী বা যাদের ভ্রমণ করার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তারা সীমান্ত পার হতে পারছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র একজন মুখপাত্র বলেন, স্বাভাবিক যাত্রাপথ দিয়ে অধিকাংশ আফগান দেশত্যাগ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ঝুঁকিতে আছেন, যাদের হয়তো বের হওয়ার স্পষ্ট কোনও পথই খোলা নেই। তবে দেশ থেকে বের হওয়ার একটা উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছে কিছু শরণার্থী। তালেবানরা কাবুল দখল নেয়ার পরপরই সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার আফগান। দেড় হাজার আফগান উজবেকিস্তানে প্রবেশ করেছে বলেও জানা গেছে। আর সেখানেই সীমান্তের কাছে তাঁবু গেড়ে বাস করছে তারা। আর রাজধানী কাবুলের হাজার হাজার মানুষ সেখানকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছে। আপাতত দেশটি ছাড়ার একমাত্র অপশনই এটা। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা রোববার জানিয়েছে, গত ১৪ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মার্কিনি এবং তার মিত্রদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন আফগান নাগরিক রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের কারণে দেশটির মানুষজনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তালেবান পুনরায় ক্ষমতা দখলের আগেই এ বছর সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। পাকিস্তান এবং ইরানেই আশ্রয় নেয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি আফগানদের। গত বছর দেশ দুটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ শরণার্থী হয়ে গেছে এবং আশ্রয় চেয়েছে। ২০২০ সালে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। ইউএনএইচসিআর বলছে, আর ইরানে রয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী। জার্মানিতে রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী। যেখানে তুরস্কে রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী। এছাড়া অস্ট্রিয়ায় ৪৬ হাজার ৬০০, ফ্রান্সে ৪৫ হাজার ১০০, গ্রিসে ৪১ হাজার ২০০, সুইডেনে ৩১ হাজার ৩০০, সুইজারল্যান্ডে ১৫ হাজার ৪০০, ভারতে ১৫ হাজার ১০০, ইতালিতে ১৩ হাজার ৪০০, যুক্তরাজ্যে ১২ হাজার ৬০০, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ হাজার ৪০০, বেলজিয়ামে ৮ হাজার ৯০০, ইন্দোনেশিয়ায় ৭ হাজার ৬০০ আফগান শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। আর চলতি সংঘাত শুরু হওয়ার পর শরণার্থী যাওয়ার তালিকায় যোগ হয়েছে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কানাডা, উগান্ডা, উত্তর মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।