Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আফগানিস্তানে গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে পাকিস্তান : শাহ মাহমুদ কুরাইশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

আফগানিস্তান সঙ্কট নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোয় গুরুত্বপূর্ণ সফরের একদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরাইশি সোমবার বলেছেন যে, পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে যা সকল স্টেকহোল্ডারদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
গত সপ্তাহে রাজধানী কাবুল তালেবানের দখলের পর আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুঁজে পেতে কুরাইশির তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ইরান সফরের কথা রয়েছে।
ছোট প্রশাসনিক জেলা এবং প্রাদেশিক কেন্দ্রগুলো দ্রæত দখল করার পর, তালেবান যোদ্ধারা ১৫ আগস্ট আফগান রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে এবং ক্ষমতা দখল করে, প্রায় ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তারা বিদেশে নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যাওয়ায় সরকার দ্রুত গুটিয়ে যায়। তালেবানরা রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে, নারীদের তার সম্ভাব্য সরকারে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে এবং অঙ্গীকার করে যে, আফগান মাটি কোনো দেশের ক্ষতি করার জন্য স্প্রিংবোর্ড হবে না।
তবে, বেশ কয়েকটি দেশ তাদের মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যার ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সোমবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে কুরাইশি বলেন, কাবুলে এখনও খুব কম দূতাবাসই কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘যদি আমি ভুল না করি তবে শুধুমাত্র পাঁচটি [দূতাবাস] এখনও কাজ করছে এবং তাদের মধ্যে একটি পাকিস্তান’।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ইসলামাবাদে একটি সেল প্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশটি প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত লোকদের ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা প্রদান করছে। তিনি আরো বলেন, ১৬ আগস্টের পর থেকে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে পাঁচটি পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন) ফ্লাইট চলাচল করেছে, যাতে শত শত মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮টি দেশের নাগরিক পাকিস্তানের দেওয়া সুবিধা থেকে উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ৩ হাজার ২৩৪ জন কর্মকর্তাকে সুবিধা দিয়েছি’।
তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল দেশ এবং শান্তির অংশীদার হিসেবে পাকিস্তান এক্সিট প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
কুরাইশি বলেন যে, পাকিস্তান আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় কাজ করছে যার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে [পাকিস্তানের অভিপ্রায়] বিনিময় করেছি এবং তারা আমাদের সাথে একত্রে আছে’।
এক প্রশ্নের জবাবে এফএম কুরাইশি বলেন, তিনি যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তারা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। ‘দেখুন, আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে নৃগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ ... বৃহত্তর ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক’, তিনি বলেন এবং যোগ করেন যে, আঞ্চলিক দেশগুলোতে তার সফরের আগে তিনি তার চীনা প্রতিপক্ষের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
এ সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, পাকিস্তান ইস্যুতে এ দেশগুলোর মূল্যায়ন সম্পর্কে শুনতে চাই এবং আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলো যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করতে চায়।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কমবেশি শান্ত ছিল। তবে, কিছু সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ছিল। ‘প্রথমত, আমাদের অনেক লোক পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে আসছে এবং যাচ্ছে ... সাধারণত আমাদের ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে ... এটি একটি বিশাল সংখ্যা’।
তিনি বলেন যে, তিনি তার সফরে শরণার্থীদের সম্ভাব্য আগমন, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
কুরাইশি বলেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য আফগানিস্তানের সুযোগগুলোও আলোচনায় আসবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কিভাবে আঞ্চলিক সংযোগ অর্জন করতে পারি এবং কিভাবে আমরা তা অর্জন করতে পারি ... তাদের সাথে আলোচনা করা জরুরি, কারণ [আফগানিস্তানের] নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে’। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ