পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর হাটহাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী দ্বীনের একজন মর্দে মুজাহিদ ছিলেন। তিনি অকুতোভয় বীর সৈনিক ছিলেন। বাতিল শক্তি তার ভয়ে সদা কাঁপতো। তিনি বলেন, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীর আতঙ্ক ছিলেন। আল্লামা বাবুনগরী ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্ভরযোগ্য আলেমদের মধ্যে একজন। তিনি সবসময় ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি বলেন, মুরতাদ ও ভ্রান্ত মতাদর্শ ও ইসলাম বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে বাবুনগরী রহ. এর প্রতিবাদী ভ‚মিকা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঈমান আক্বিদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। তার ইন্তেকালে দেশের ঈমানদার জনগণ একজন খ্যাতিমান ধর্মীয় অভিভাবক হারালেন। তার ইন্তেকালে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা বরিশালের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাদরাসা মসজিদে নামাজের পর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী স্মরণে আলোচনা সভায় পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়েরসহ চরমোনাই জামিয়ার সকল উস্তাদে মুহতারাম ও ছাত্রবৃন্দ। পরে আল্লামা বাবুনগরীর বুলন্দ মর্যাদা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী : এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী এক বিবৃতিতে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।