মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে দেশটির বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান নেমেছিল কাবুল বিমানবন্দরে। কিন্তু তাতে ৬৪০ আফগান চড়ে বসে। সোমবারের এই ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এই ঘটনা নিয়ে করা প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে ‘দি লাকি ওয়ানস।’
ক্ষমতা গ্রহণের পরে তালেবানরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও সোমবার দিনভর কাবুল বিমানবন্দরে আফগানদের হাহাকার দেখা যায়। তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পরে দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন অনেকেইে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পরিবহন বিমানে বোঝাই হওয়া শত শত আতঙ্কগ্রস্ত আফগান উদ্বাস্তুর প্রথম ছবিগুলো আসতে শুরু করেছে। রাজধানী কাবুলসহ প্রায় পুরো আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসার প্রেক্ষাপটে এসব আফগান পালাতে চাচ্ছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাবুল থেকে অন্তত দুটি সি-১৭ পরিবহন বিমান উড়াতে পেরেছে। সোমবার রাত ও চলতি সপ্তাহের বাকি সময়ে আরো বিমান লোকজনকে পরিবহন করবে।
রোববার প্রথম মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৭ কাবুল থেকে যাত্রী নিয়ে কাতার যায়। বিমানটির নম্বর ছিল আরসিএইচ ৮৭১। বিমানটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেয়ার সময় আতঙ্কগ্রস্ত শত শত আফগান নাগরিক দৌড়ে যায় বিমানের দিকে। তারপর তারা র্যাম্পে ওঠে বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে। ডিফেন্স ওয়ানের হাতে আসা একটি ছবিতে বিমানে কী ঘটেছিল, তা কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। ওই বিমানে ১৫০ জন সৈন্য ও এক লাখ ৭১ হাজার পাউন্ড মালামাল আনায়াসে পরিবহন করা যায়। কিন্তু তাকে চড়ে বসে কয়েকগুণ বেশি লোক।
শুরুতে একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার অডিওতে জানান, বিমানে ৮০০ আরোহী আছেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, তাদের সংখ্যা ৬৪০। উদ্বাস্তুরা, তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে, দৌড়ে অর্ধেক খোলা র্যাম্পে ঢুকে পড়ে। তারপর তারা বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের নামানো অসম্ভব দেখে বিমানের ক্রু রওনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানটি যখন তার গন্তব্যে অবতরণ করে, তখন আরোহী ছিল ৬৪০ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক।
কাবুল বিমানবন্দরে গুলিবর্ষণ, পদদলিত ও অন্যান্য বিশৃঙ্খলায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। বিমানবন্দরটি এখনো মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে সব ধরনের সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে গতকাল সকালে বিমানবন্দর খুলে দেয়া হয়েছে জানিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, মার্কিন সেনারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া আফগানদের চাপ সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, লুটপাট ও অপহরণ ঠেকাতে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে। দয়া করে কেউ বিমানবন্দরে আসবেন না। অনেক এয়ারলাইন্স তাদের রুট পরিবর্তন করেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিক আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করছে না। ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্যমতে, অনেক বিমান ইরান ও পাকিস্তানের আকাশপথ দিয়ে চলাচল করছে। সূত্র : ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।