Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানিস্তানে প্রভাব বাড়াতে প্রস্তুত চীন, পাকিস্তান এবং রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২১, ৬:২৬ পিএম

তড়িঘড়ি ও বিশৃঙ্খলভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং ২০ বছর পর তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসায় আফগানিস্তানে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রভাব নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। কারণ, রাশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং চীন সকলেই বিভিন্ন মাত্রার উৎসাহের সাথে তালেবান কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে।

কিন্তু তালেবানের প্রত্যাবর্তন সেই দেশগুলোতে আশঙ্কাও জাগিয়েছে যে, আফগানিস্তান আবার বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে যা তাদের দেশেও হামলা চালাতে পারে। পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে আফগান তালেবানকে সহায়তা করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, তালেবানরা ‘আফগানিস্তানে মানসিক দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলেছে’। একটি প্রধান ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের নেতা বলেন, ‘তালেবান তাদের দেশকে পরাশক্তি থেকে মুক্ত করেছে।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, চীন ‘আফগানিস্তানের সাথে ভাল-প্রতিবেশী, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে প্রস্তুত। পাশাপাশি তালেবানও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, আফগানিস্তান ‘চীনের জন্য ক্ষতিকারক কাজের’ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে না। এবং রাশিয়া, যা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে ঘিরে তার বেশিরভাগ পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন করেছে, তারা তালেবানদের ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে সতর্কতার সাথে ও রাজনৈতিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

আফগানিস্তানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দূত জমির কাবুলভ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘যদি আমরা সহকর্মী এবং অংশীদারদের আলোচনার তুলনা করি, আমি অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তালেবানরা কাবুলের পুতুল সরকারের চেয়ে চুক্তিতে পৌঁছতে অনেক বেশি সক্ষম।’ সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ