মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাবুল পতনের পর আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে গেলেও সেখানে আশ্রয় পাননি আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সেখান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় প্রেসিডেন্ট ঘানিকে। এরপর তার বিমান যায় ওমানে।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওমান সরকার আশরাফ ঘানিকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। তবে সোমবার পর্যন্ত ওমানেই রয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলো জানিয়েছে, ওমানে আশ্রয় না পেলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারেন আফগানিস্তানের পরাজিত এ প্রেসিডেন্ট। ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির নাগরিকত্বও ছিল ঘানির।
এর আগে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন আশরাফ ঘানি। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে, সেই নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাই শেষ পর্যন্ত ঘানি দেশটিতে আশ্রয় নিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।
ওমানে আশরাফ ঘানির সঙ্গে আফগানিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লাহ মুহিবও রয়েছেন। তালিবানের সামনে কখনও মাথা নত করবেন না বলে বার্তা দিলেও, সদ্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ তাজিকিস্তানেই রয়েছেন।
এদিকে তালেবান যোদ্ধাদের হাতে কাবুল পতন হওয়ার প্রেক্ষাপটে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেশছাড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির নাগরিকরা। এমনকি তাকে ‘কাপুরুষ’ বলে অভিহিত করছেন তারা।
অবশ্য দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও দেশটির জাতীয় ঐক্য গঠন পরিষদের নেতা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এখনও দেশে রয়েছেন। তারা আফগানিস্তানে একটি পূর্ণ সরকার ও তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতা করতে আলোচনা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে আফগানিস্তানের লগার প্রদেশে আশরাফ ঘানি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। সেখানে পড়ালেখা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া ও জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ালেখা শেষে চাকরি করেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে। তিনি ২০০২ সালে আফগানিস্তানে ফেরেন।
এরপর ২০০৯ সালে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে; তবে সে দৌড়ে তিনি হেরে যান। প্রথম মেয়াদে তিনি ২০১৪ সালে দেশটিতে জোট সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন হামিদ কারজাইকে পরাজিত করে। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২০ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন আশরাফ ঘানি। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।