মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগান পার্লামেন্টের স্পিকার মীর রেহমান রহমানি এবং সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা ইসলামাবাদের উদ্দেশে কাবুল ত্যাগ করেছেন। বার্তা সংস্থা টুইটারে দাবি করেছে, ‘বলা হচ্ছে যে, পার্লামেন্টের স্পিকার মীর রেহমান রাহমানী, হাজী মোহাম্মদ মহাকিক এবং আরো বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মকর্তা পিআইএর একটি ফ্লাইটে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন’।
আগমনের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকা সত্তে¡ও, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অব্যাহত তালেবান অগ্রাভিযানের কারণে আফগানিস্তানে দ্রুত পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে। গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে কূটনৈতিক চাপের অংশ হিসেবে পাকিস্তান আফগানিস্তান নিয়ে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করতে পারে, যেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে পাকিস্তানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আফগান পরিস্থিতি নিয়ে মূল আঞ্চলিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আয়োজক করার পরিকল্পনা করছি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা আমন্ত্রিতদের তালিকা দিতে পারেননি। তবে সূত্র জানায়, রাশিয়া, চীন, ইরানসহ আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তুরস্কসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সম্মেলনে অংশ নেবেন। আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা এবং ঐকমত্য তৈরি করা এই উদ্যোগের পেছনের ধারণা।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশীরা উদ্বিগ্ন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অবনতিশীল পরিস্থিতি এই অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আফগানিস্তানের শেষ খেলায় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ভূমিকা আছে, কিন্তু প্রতিবেশী দেশে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আফগানিস্তানের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এমন কিছু উপাদান রয়েছে যারা ইসলামাবাদকে এই বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী করছে।
তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের কোনো পছন্দ নেই এবং আফগানিস্তানের সমস্যাগুলোর রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার ক্ষেত্রে দেশটি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সাথে একই পৃষ্ঠায় রয়েছে। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সময় আসবে, পাকিস্তান তালেবান সরকারকে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য, স্থল বাস্তবতা এবং পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য করবে’।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সম্মত হয়েছে যে, আফগান সমস্যার কোন সামরিক সমাধান হওয়া উচিত নয় এবং তিনি চান সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক’।
কুরেশি বলেন যে, তিনি শিগগিরই চীন, ইরান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতৃত্বের সাথে আফগান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আরো বলেন যে, ভারতেরও আফগান সমস্যা সমাধানে কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন যে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে দেশটিতে পাকিস্তান দূতাবাস স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। কুরেশি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই আফগানিস্তানে একজন সহায়কের ভ‚মিকা পালন করে আসছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। ‘এটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাই আমরা এর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে চাই’।
তার প্রেস ব্রিফিংয়ের শেষের দিকে, এফএম কুরেশি বলেন যে, আফগান নেতৃত্বকে একসঙ্গে এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করতে হবে যা আফগান জনগণের সম্পদের পাশাপাশি জীবন বাঁচাবে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও জিও নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।