বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলাম লেখক প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ মারা গেছেন। রোববার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপকের মৃত্যুতে সর্বত্র নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে বহুমাত্রিক লেখনির জন্য খ্যাতি অর্জনকারী এই গুনী মানুষের প্রস্থানে সামাজিক মাধ্যমেও শোক প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
শোক প্রকাশ করে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ স্যারকে বিশেষায়িত করার মত যথেষ্ট ভাষা জ্ঞান আমার আছে কিনা সন্দেহ। ইনকিলাবের সূত্রে স্যারের সাথে ও স্যারের লেখালেখির সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিল। আমি তার লেখার মুগ্ধ পাঠক ছিলাম। তবে যে সময়ে দেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় নানাভাবে বিভক্ত সেই সময়ে প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদকে খাঁটি দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী নিঃসংকোচে বলা যায়। বিভেদায়িত সমাজ তাঁকে ও তাঁর মনীষাকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে, সম্মান দেখাতে অসমর্থ হয়েছে সেটা এই সমাজের ব্যর্থতা। তাঁর সাথে বাংলাদেশ জ্ঞানচর্চার যে বাতিঘরকে হারালো, তা আর কখনো পূরণ হবে কিনা সন্দেহ। তার বিদায়ে প্রিয়জন হারানোর বেদনা অনুভব করছি হৃদয়ে। মহান আল্লাহর কাছে তার মাগফেরাত ও জান্নাত কামনা করছি।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিখেন, ‘আমরা শোকাহত। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট, ও শিক্ষাবিদ, প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ তার ইহকালীন জীবনের পর্ব শেষ করে আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে পরকালের অনন্ত জীবনে প্রবেশ করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি ছিলেন সমকালীন সময়ের এক চলন্ত ডিকশনারি। তার সাথে এবং তার লেখার সাথে যারা পরিচিত তারা অবশ্যই এ সত্যকে নির্দ্বিধায় মেনে নিবেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভির ভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ যেন তার পরকালীন জিন্দেগীকে শান্তিময় করে দেন, এবং তার শোকাহত স্বজনদের ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন। আমিন।’
স্মৃতিচারণ করে আলফাজ আনাম লিখেন, ‘যার টানে রাজশাহী যেতাম তিনি আজ চলে গেলেন। বিদায় এবনে গোলাম সামাদ। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুন। আর কখনো বলবেন না, আপনারা যা ভাবেন তা তো আমি নই। আমি এক সাধারন মানুষ। আমি তো টাকার জন্য লিখি না। মনে যা আসে লিখি।’
আবু বকর সিদ্দিক লিখেন, ‘বাংলাদেশের যে মানুষ টি সবচেয়ে নীরবে সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন ছিলেন তিনি হলেন অধ্যাপক এবনে গোলাম সামাদ। উনার সাহিত্য কর্ম শিক্ষকতা দেশে বিদেশে গবেষণা সবকিছু মিলিয়ে একটা সাফল্যমন্ডিত জীবন তিনি পার করেছেন। তাও তিনি রয়ে গেছেন অতি আড়ালে। লোকচক্ষুর সম্মুখে তাকে তেমন দেখা যেতো না। এক জীবনে বিশাল বিশাল গুরু দায়িত্ব তিনি পার করে গেছেন। শেষ বয়সে নিজ শহর রাজশাহীতে কাটিয়ে দিয়েছেন অজস্র দিবারাত্রি। আজ সকালে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। আল্লাহ তার এই বান্দাকে জান্নাতবাসী করুন। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এর পরে এই লোকটি ছিলেন সবচেয়ে নিভৃতচারী একজন জ্ঞানী বুদ্ধিজীবী। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক।’
দোয়া প্রার্থনা করে এমডি রবিউল হোসেন লিখেন, ‘বড় অসময়ে চলে গেলেন! বিশিষ্ট্য চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবি,কলামিস্ট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. এবনে গোলাম সামাদ (৯৩) ১৫ আগস্ট রোববার সকাল সাড়ে দশটায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।) উনার লেখার মাধ্যমে অনেক বিষয় জানার সুযোগ পেতাম। এখন আর সেই সুযোগ পাবো না। উনার সকল কর্মতৎপরতাকে আল্লাহ কবুল করুন। মহান রবের দরবারে ফরিয়াদ করি যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।