মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবানদের হাত পতন ঘটা কুন্দুজের জার্মান ঘাঁটিও এখন তাদের দখলে। মিলিশিয়া বাহিনীটি কুন্দুজ দখলের পর গুঞ্জন উঠেছিল যে, জার্মানি হয়তো আবারও সেখানে সেনা পাঠাবে। তবে জার্মানি এবার স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর কোনো ইচ্ছাই তাদের নেই। দীর্ঘদিন কুন্দুজে জার্মান সেনাদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তবে দেশটি থেকে বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহারের অংশ হিসেবে জুন মাসেই সেখান থেকে সকল জার্মান সেনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
জার্মানি আবারও সেখানে সেনা পাঠাবে এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, আপাতত জার্মান সেনা ফেরত পাঠানোর প্রশ্ন নেই। তবে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে, তার সমালোচনা করেন তিনি।
উত্তর আফগানিস্তান থেকে রাজধানী কাবুল ঢুকতে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কুন্দুজ। এখানেই দীর্ঘ ১০ বছর জার্মান সেনার ঘাঁটি ছিল। গত দশ বছরে জার্মান সেনা এ অঞ্চল সম্পূর্ণ নিজেদের আধিপত্যে রেখেছিল। এখন কুন্দুজ দখল করা মানে কাবুলের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে তালেবান। এহেন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, জার্মানি ফের কুন্দুজে সেনা পাঠাতে পারে।
জার্মান সেনাদের ত্যাগের কথা স্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তিনি বলেন, কুন্দুজসহ গোটা আফগানিস্তান থেকে যে রিপোর্ট আসছে, তা দুঃখজনক। বহু জার্মান সেনা রক্ত দিয়ে কুন্দুজকে রক্ষা করেছিল। আমরা ওখানে অনেক লড়াই করেছি।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবানকে ধ্বংস করার জন্য আরো লম্বা সময়ের প্রয়োজন ছিল। বাস্তবে সে সময় পাওয়া যায়নি। ট্রাম্প যদি তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি আজ এমন হতো না।
মাজার-ই-শরিফ কনস্যুলেট থেকে কর্মী ফিরিয়ে আনছে ভারত
এদিকে আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে থাকা কনস্যুলেট থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত। তালেবান মিলিশিয়াদের আগ্রাসনে পুরো আফগানিস্তান ক্রমশ বিপর্যস্ত ও অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটেই কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় তাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
খবরে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এক বিশেষ বিমানে কর্মকর্তাদের রাজধানী নয়া দিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। স¤প্রতি পুরো প্রদেশটি জুড়ে তালেবানের হামলা বেড়ে গেছে। দেশটির অন্তত ৬টি প্রাদেশিক রাজধানী এখন তালেবানের হাতে পতনের হুমকিতে রয়েছে। ফলে ঝুঁকি বেড়েছে মাজার-ই-শরিফেও।
ভারতীয় কনস্যুলেট থেকে করা এক টুইটে জানানো হয়েছে, নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে মাজার-ই-শরিফ থেকে একটি বিশেষ বিমান ছেড়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে থাকা যে কোনো ভারতীয় নাগরিককে ওই বিমানে আফগানিস্তান ছাড়ার আহŸান জানানো হচ্ছে। এ জন্য শুধু ভারতীয় নাগরিকদের নিজেদের পুরো নাম ও পাসপোর্টের নাম্বার দেখালেই চলবে।
গত মাসে কান্দাহারে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয় তালেবান মিলিশিয়াদের। সেসময় কান্দাহারে থাকা কনস্যুলেট থেকে ৫০ ক‚টনীতিককে নিরাপদে সরিয়ে আনে ভারত। সেসময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমান পাঠানো হয়েছিল। সূত্র : ডয়চে ভেলে ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।