বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক। গত সোমবার রাতে অনুষ্টিত হয় মোগলাবাজার থানার দাউদপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির উদ্যোগে নির্বাচনী সভা। কিন্তু সেই সভায় প্রার্থীর আচরণের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সভাস্থলেই পদত্যাগ করেন সভার সভাপতি ও মোগলাবাজার থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া মোগলাবাজার থানা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক মনছুর আহমদও পদত্যাগ করেন। একই সাথে তিনি আতিকুর রহমান আতিককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। তবে জাতীয় পার্টির নেতাদের দাবি পদত্যাগের ঘোষনা দেয়া নেতারা হয়তো অন্য কোন প্রার্থীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। তাই সংগঠনের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়ে দলীয় প্রার্থীর ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সভায় এমন নাটক মঞ্চায়ন করেছেন তারা। সোমবার রাত ৮টায় মোগলাবাজার থানাধীন দাউদপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির উদ্যোগে নির্বাচনী মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মোগলাবাজার থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা শাখার সদস্য সচিব উসমান আলী। সভায় মোগলাবাজার থানা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনছুর আহমদ বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক তার ইচ্ছেমতো নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দাউদপুর ইউনিয়নে কয়েকটি নির্বাচনী সভা ছিল। কিন্তু আতিক জাতীয় পার্টির কাউকে কিছু না জানিয়েই সভা বাতিল করেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের কতিপয় নেতাকর্মী মোটর সাইকেলে গিয়ে জাতীয় পার্টির সভার চেয়ার নিয়ে আসেন। প্রার্থীর এরকম অবিবেচক কান্ডের কারণে মনছুর আহমদ সংগঠন থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ঘোষনা দেন। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে আতিকুর রহমান আতিককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষনা করেন। এদিকে, সভাপতির বক্তব্যে মোগলাবাজার থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন নিজের পদত্যাগ স্বীকার করে বলেন, আতিকের কাছে দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা অপমানিত হতে হয়েছে।
এদিকে, সভার প্রধান অতিথি উছমান আলী জানান, যারা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তারা জাতীয় পার্টির ভালো চায়নি। তাই দলীয় প্রার্থীর ক্ষতি করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা এ নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।