পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোডি এল মেনসাজেরোতে লেখা একটি নিবন্ধে বলেছেন, তিউনিসিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে পশ্চিমের নীরবতা সউদী আরব ও মিশরের মতো স্বৈরাচারী শাসিত দেশগুলোর প্রতি তাদের সমর্থন দেখায়, যারা অভ্যুত্থানের নেপথ্যে দাঁড়িয়ে আছে।
ইউরোপীয় কমিশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রোডি বলেছেন, ‘কোভিড -১৯ এর ক্রমবর্ধমান বিপদ এবং প্রত্যাশিত অভিবাসন তরঙ্গের কারণে প্রতিবেশী ইতালিতে সম্ভাব্য প্রত্যক্ষ পরিণতি সম্পর্কে এই সবকিছুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’ তিনি বলেন, তিউনিসিয়ান অঙ্গনে বাহ্যিক প্রভাব মিশর, সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মধ্যে বিভক্ত, যারা তিউনিসিয়ান প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ কর্তৃক গৃহীত স্বৈরাচারী পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করে, যারা কাতার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে, যারা মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক ট্র্যাক সমর্থন করে, যা তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক পথের অংশ।
প্রোডি জোর দিয়ে বলেন যে, পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতালীয় দৃষ্টিভঙ্গি স্থলভিত্তিক ঘটনার সাথে সংযুক্ত নয়। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো তিউনিসিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনও ‘সুনির্দিষ্ট’ অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি এবং আফ্রিকান দেশটিকে স্থিতিশীল করার জন্য তারা এখনও কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি। ‘আমি মনে করি তিউনিসিয়ায় যা ঘটছে তা অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়,’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাওয়ার পরিণতি তিউনিসিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে যাবে। আমরা, ইউরোপীয়রা ভ‚মধ্যসাগরের দক্ষিণ তীরে রাজনৈতিক প্রভাব হারাচ্ছি।’
গত ২৫ জুলাই, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদের দ্বারা প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিকে বরখাস্ত করেন, সংসদের কাজ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেন, মন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা তুলে নেন এবং নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।
সরকারের অর্থনীতি এবং করোনাভাইরাস পরিচালনার সমালোচনা করে তিউনিসিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এই পদক্ষেপ নেন প্রেসিডেন্ট। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভেঙে দেয়ার আহŸান জানিয়েছিল। দেশটির অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই পদক্ষেপকে ‘সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান’ এবং ২০১১ সালের বিপ্লবের সাফল্য বলে সমালোচনা করেছে।
এদিকে, তিউনিসিয়ার বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ দ্রæত করার জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আহŸান জানিয়েছে। তিউনিশিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন (ইউজিটিটি) কাইস সাইয়েদকে প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ দ্রæত করার এবং দেশ গঠনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার গঠনের আহŸান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে যে, নতুন সরকার গঠনের জন্য ৩০ দিন অপেক্ষা করা সম্ভব হবে না। তিউনিসিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি ইউজিটিটির মুখপাত্র সামি তাহিরি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত হওয়ার জন্য আমরা ৩০ দিন অপেক্ষা করতে পারি না। অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের সরকার গঠনের গতি বাড়িয়ে তুলতে হবে ‘
প্রেসিডেন্ট ৩০ দিনের জরুরী সময়সীমা শেষ করার জন্য কোন রোডম্যাপ ঘোষণা করেননি, যা তিনি পরে স্পষ্ট করেছিলেন যে, এটি দুই মাসের জন্য বাড়ানো যেতে পারে। সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মারওয়ান এল-আব্বাসি এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী হাকিম হামমুদা এবং নিজার ইয়েচে প্রধানমন্ত্রীর পদে বিশিষ্ট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।