মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহ’র অধিকাংশ এলাকাই তালেবান দখল করে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা ইতোমধ্যেই লস্কর গাহ’র কেন্দ্রস্থলে ঢুকে পড়েছে এবং শহরের সরকারি প্রচারমাধ্যমের অফিস দখল করে তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে।
তালেবান একযোগে তিনটি প্রাদেশিক শহর দখল করার জন্য আক্রমণ চালাচ্ছে। লস্কর গাহ ছাড়া অন্য দুটি শহর হচ্ছে কান্দাহার ও হেরাত। তবে হেলমান্দে আফগান বাহিনীর অধিনায়ক জেনারলের সামি সাদাত বিবিসিকে বলেছেন, তালেবান কিছু জায়গা দখল করেছে ঠিকই, কিন্তু তারা সেখানে টিকতে পারবে না। তিনি যত শীঘ্র সম্ভব লস্কর গাহর বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন।
হেলমান্দের ওপর তালেবানের এই হামলা আফগানিস্তানে তাদের সবচেয়ে বড় অভিযান। তালেবান যদি লস্কর গাহ্ দখল করতে পারে তাহলে সেটি হবে ২০১৬-র পর প্রথম প্রাদেশিক রাজধানীর পতন, এবং সরকারি বাহিনীর জন্য এক বড় আঘাত। কারণ আমেরিকান এবং ব্রিটিশ বাহিনী আফগান সরকারি বাহিনীর সৈন্যদের এখানেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
লস্কর গাহ ও তার আশাপাশে তালেবান এবং সরকারি সৈন্যদের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। হেলমান্দ প্রদেশে এখনো তীব্র লড়াই চলছে। জাতিসংঘ বলছে, একদিকে তালেবানের স্থল অভিযান, আর অন্যদিকে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা- এ দুয়ের মাঝে পড়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছে বেসামরিক মানুষজন। লড়াইয়ের কারণে লস্কর গাহ ও পাশের প্রদেশের রাজধানী কান্দাহার থেকে হাজার হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে।
লস্কর গাহের হাসপাতালগুলো জখম লোকজনের ভিড়ে উপচে পড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, তিনি তালেবানের নৃশংসতার কিছু খবর পেয়েছেন, যা গভীরভাবে বিচলিত হওয়ার মতো। সামাজিক মাধ্যমে স্পিন বোল্ডাক শহরের কিছু প্রতিশোধমূলক হত্যার ভিডিও বেরিয়েছে। তবে তালেবান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কান্দাহার দখল করতে পারলে তালেবান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শক্ত ভিত্তি পেয়ে যাবে। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরেও যুদ্ধ চলছে। হেলমান্দে সরকারি বাহিনীর প্রধান জেনারেল সামি সাদাত বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই লড়াইয়ে অন্যান্য উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যরা তালেবানের সাথে যোগ দিচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, তালেবান জয়লাভ করলে তা শুধু লস্কর গাহকেই হুমকিতে ফেলবে না। তিনি বলেন, এর ফলে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা বেড়ে যাবে। ইউরোপ বা আমেরিকাতে যেসব ছোট কট্টরপন্থী সংগঠন গোপনে কাজ করছে, তারা নতুন নতুন সদস্য জোগাড়ে উৎসাহিত হবে। সার্বিকভাবে বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে জেনারেল সামি উল্লেখ করেন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।