বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্তের পরিবারে সরকারি ভাতাভোগী তালিকায় ৭ সদস্যের নাম পাওয়া যায়। তালিকা অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাই, চাচী ও স্বামী ৩ জন পায় বয়স্ক ভাতা, মেয়ের জামাই ও নাতনি পায় প্রতিবন্ধি ভাতা। এখানেই শেষ নয়, মেয়ে পায় ভিজিএফ কার্ডে ১০ টাকার চাউল, আর ছেলের বউ পায় মাতৃত্বকালীন ভাতা। এভাবে সাতটি কার্ডে সরকারি সহায়তার ভাতা তুলছেন আনোয়ারা ৭ নম্বর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত। আনোয়ারা উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সরকারের বয়স্ক ভাতা প্রদানের বিধিমালানুযায়ী পুরুষের ৬৫ বছর ও মহিলাদের ৬২ বছর বয়স হলেই বয়স্কভাতার অর্ন্তভুক্ত করা যাবে। সমাজসেবা কার্যালয়ের বয়স্ক ভাতার তালিকায় রয়েছে মিনু রাণী দত্তের স্বামী দীপক দত্ত ও চাচী, নানী প্রভা দাশ, প্রতিবন্ধী তালিকায় মেয়ের জামাই সমর দাশ ও নাতনী প্রাপ্তি দত্ত (৫)র নাম, খাদ্য অধিদফতরের তালিকায় ১০ টাকার চাল ভিজিএফ কার্ডে মেয়ে কৃঞ্চ দত্তের নাম আর মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের অফিসের তালিকায় মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডে ছেলের বউ টুম্পা দত্তের নাম। সব মিলিয়ে মাসে প্রায় ৭ হাজার ১০০ টাকার ভাতা তুলে নিচ্ছেন মিনু রাণীর পরিবার।
জানা গেছে, ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্তের মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের স›দ্বীপ উপজেলায়, থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। কিন্তু আ্ইডি কার্ডের ঠিকানা আনোয়ারা উপজেলায় করার সুবাদে মেয়ের জামাই সমর দাশের নামেও তুলছেন প্রতিবন্ধী ভাতা। মিনু রাণী দত্তের ভাই পীযুষ দত্তের আইডি কার্ড মতে তার জন্ম ১০ জুন ১৯৬৫ সাল হলেও বিগত কয়েক বছর তার নামে বয়স্কভাতা এসেছিল। পরে সরকার অনলাইনে বয়স্ক ভাতা চালু করলে তার নাম বয়সের কারণে বাদ পড়ে।
ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ২৩ বছর নির্বাচিত মেম্বার হিসেবে আছি। তাই আশপাশের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তার ভাই পীযুষ দত্ত আগে ভাতা পেলেও এখন অনলাইনে হওয়াতেই পাচ্ছেনা বলে জানান তিনি। তবে তার পরিবারে ২ জনই ভাতা পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের বিষয়ে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। এক পরিবারে ৭ জন ভাতা সুবিধা নেয়ার বিষয়ে তদন্ত কমিঠি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।