Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও টিকাদান নিশ্চিত করার বিকল্প নেই

ড. মোহা. হাছানাত আলী | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু মানুষের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে থেকেই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যায়, যা অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে ঈদুল আজহার ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে গিয়েছিলো। ফলে জেলায় জেলায় করোনা রোগী আরো বেড়ে গেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, জেলা শহরের হাসপাতালগুলো এমনিতেই বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত, তার মধ্যেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে। অনেক জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। আইসিইউ বেড নেই, আবার অনেক ক্ষেত্রে আইসিইউ বেড থাকলেও এর অপ্রতুলতা এই পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। ফলে করোনা আক্রান্ত মানুষের আত্মীয়স্বজনরা একটি আইসিইউ বেডের জন্য দিশেহারা হয়ে এক হাসপাতার থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটোছুটি করছে। দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যেই ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তথ্যানুযায়ী, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এখন বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ তম।

দেশে যখন করোনার এই ভয়াবহ অবস্থা তখন চলছে কঠোর লকডাউন। কঠোর লকডাউন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। লকডাউন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষর জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, যে সমস্ত মানুষ রিকশা-ভ্যান চালায়, দিনমজুর, অটো-ড্রাইভার তাদের অবস্থা আরো নাজুক। শহরের শিল্প কলকারখানা বন্ধ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এতকিছুর মধ্যেও আমাদের গ্রামগঞ্জে-হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণ নেই। অধিকাংশ মানুষ উদাসীন। আমরা হয়তো কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে শহরে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারছি বা গাড়ি-ঘোড়া চলাচল সীমিত করতে পারছি বা শহরবাসীর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি, কিন্তু গ্রামাঞ্চলের অবস্থা একেবারেই ভিন্ন। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, সেখানে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা করছে না। মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। গ্রাম বা শহরতলির মানুষগুলো হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিচারে চলাচল করছে। তাই কখনো কখনো মনে হয় এধরনের লকডাউন বা কঠোর লকডাউন দিয়ে শুধুমাত্র খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টটাই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এধরনের লকডাউন দিয়ে হয়তো শিক্ষিত মানুষকে সচেতন করা যাবে, কিন্তু গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের, যারা অধিকাংশই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইরে থাকে তাদেরকে সচেতন করা যাবে না, যায়ও নি।

এদিকে করোনার মধ্যেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা অপ্রতুলতার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে ঈদের মাত্র একদিন পর লকডাউন ঘোষণা করায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভোগান্তি ঈদ আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ। অথচ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা। এর মধ্যে আবার হঠাৎ করেই ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষ দলবদ্ধ হয়ে ঢাকামুখী হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে আবার সীমিত সময়ের জন্য গণপরিবহন চালু করা হয়েছে। এ এক অদ্ভুত অবস্থা চলছে। হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কীভাবে অফিসে আসা যাওয়া করবে তার ব্যবস্থা না করে এমন সিদ্ধান্ত তাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। বহুমানুষ টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ফিরতি ম্যাসেজের অপেক্ষায় রয়েছে। কবে কখন কীভাবে দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে তার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা জরুরি। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।

অভিজ্ঞতা বলছে, আমরা যতই লকডাউন শাটডাউনের কথা বলি না কেন সর্বাগ্রে টিকাকরণের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে এবং সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী টিকা কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। আমরা দেখেছি ভারতের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তারা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা সেই সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং ডিসেম্বর নাগাদ ভারতের সমস্ত মানুষকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

কিছুদিন আগেও আমরা দেশের প্রায় সব কিছুই খোলা রেখেছিলাম। মার্কেট, বিপণী বিতান, রাস্তা ঘাট, গরুর হাট, চামড়ার বাজার, বিনোদন কেন্দ্র সবকিছু। আবার ঈদের একদিন পর আমরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বৃদ্ধি করে দিয়েছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা ও কার্যকর পরিকল্পনার অভাবে আমরা বারবার সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্টকে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। এই কঠোর লকডাউন বা সীমিত লকডাউন যেটাই বলি না কেন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রায় সাড়ে চারকোটি গরিব মানুষের প্রত্যেকের অন্তত ১৪ দিনের খাবারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ছিলো। এটা করতে বেশি টাকারও প্রয়োজন হতো না। ফলে আমরা সহজেই খেটে খাওয়া মানুষকে ঘরবন্দী করে রাখতে পারতাম। খেটে খাওয়া মানুষের কাছে এই করোনা, লকডাউন একেবারেই তুচ্ছ বিষয়, বরং তাদের সন্তানদের এবং পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা অন্ন তুলে দেয়াটাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে উপার্জনের আশায় ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হচ্ছে, মাঠে-ঘাটে কাজ করছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন কার্যকরে ঝুঁকি আছে জেনেও রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। তারা প্রয়োজন মতে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করে কোর্টের মাধ্যমে জেলে পাঠাচ্ছে, জরিমানা করছে। কাজের কাজ কিছুই যে হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়, তবে তা অনেকাংশে শহরাঞ্চলে সীমিত হয়ে পড়েছে।

আমরা নিজেরা যদি সচেতন না হই, স্বাস্থ্যবিধি না মানি তা হলে সরকার বা আইনশৃংখলা বাহিনীর দ্বারা করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য আমলা নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতির উন্নতি কল্পে অনতিবিলম্বে গণটিকা কার্যক্রম চালু করতে হবে। টিকা আমদানির পাশাপাশি দেশেই টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করাটা খুবই জরুরি।

টিকাকরণের মাধ্যমে মানুষের ভেতর থেকে এই করোনা ভীতি দূর করা সম্ভব। আমরা জীবন ও জীবিকার তাগিদে একসময় বলতে গেলে পর্যায়ক্রমে সবকিছুই খুলে দিয়েছিলাম কিন্তু দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১৮ মাস যাবৎ বন্ধ। বিশ্বের যে ১৯-২০টি দেশের শিক্ষাঙ্গন একদিনের জন্যও খোলা হয়নি বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি। ইউনিসেফ এবং ইউনেস্কো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে। সরকার সে আহবানে পজিটিভ সাড়া দিয়েছে তা কিন্তু নয়। দেশের একটি প্রজন্ম প্রায় ধ্বংস হবার পথে। আমরা অনলাইনে ক্লাসের কথা বলছি, পরীক্ষার কথা বলছি কিন্তু একবারও চিন্তা করছি না যে দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ দরিদ্র। করোনাকালে দেশে প্রায় বহুমানুষ চাকরি হারিয়ে গ্রামে ফিরে গেছে। তাদের আবার অনেকের কাছেই ডিজিটাল ডিভাইস নেই। শহুরে শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে অনেকটায় ভাগ্যবান। গ্রামীণ জনপদের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা বলার মত কোনো সুফল বয়ে আনেনি। বিশেষ করে গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তারা দীর্ঘদিন শিক্ষা থেকে একেবারেই দূরে। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। করোনাকালের হতাশায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। বাল্যবিবাহের শিকার হতে হয়েছে অনেক তরুণীকে। অনেকেই আবার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হয়ে অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার মোবাইলে বা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। আমরা অনেক কিছু সচল করলেও শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি স্থবির করে দিয়েছি। সরকারের বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে। একটা বিষয় আমার মোটেই মাথায় আসে না তাহলো, দেশে যখন গার্মেন্টস, বিপণী-বিতান, হাট-বাজার, বিনোদন কেন্দ্রে করোনা ছড়াচ্ছে না মনে করে খুলে রেখেছিলাম তখন শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা ছড়াবে তা মনে করে ক্লাসরুমে তালা দিয়ে রেখেছি কেন? করোনা কি তাহলে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই সংক্রমণ ছড়ায়? কলে-কারখানায় কিছুদিন আগেও হাজার হাজার শ্রমিক একসাথে কাজ করেছে, ১ আগস্ট থেকে আবারো তারা একসাথে কাজ করছে, আমরা তাদের সংক্রমিত হওয়ার কথা ভাবিনি। ঈদে বিপণী-বিতান খুলে দিয়েছি, করোনার কথা ভাবিনি, কোরবানির পশু হাট চালু করে দিয়েছি, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে জেনেও তা বন্ধ করিনি। এখন আবার গার্মেন্ট চালু করে দিয়েছি। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ভাবছি না কেন? আসলে মাসের পর মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এদেশের তরুণ সমাজকে পঙ্গু করে রাখার একটি ভয়াবহ খেলায় আমরা মেতে উঠেছি না তো? শিক্ষার্থীদের টিকাকরণের যে ঘোষণা, সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। প্রক্রিয়া চলমান। তবে তার গতি অনেক স্লথ। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে টিকাকরণের বয়স সীমা আরো কমিয়ে আনা দরকার এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ক্লাসরুমের তালা খুলে দেওয়া এখন গণআকাক্সক্ষায় পরিণত হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, উন্নত বিশ্ব যা পারে আমরা তা পারি না। আর এই না পারার সঙ্গত কারণও আছে। তারা প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়ে অনেকে এগিয়ে, অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সক্ষম। তারা চাইলেই ঘরে ঘরে প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে পারে, কিন্তু আমরা চাইলেও তা পারি না। আর পারি না বলেই হয়তো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বা আগামী ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিৎ। প্রয়োজনে সিফটিং পদ্ধতিতে ক্লাস চালু করার কথা ভাবা যেতে পারে।

শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের মৃত্যুহার অনেক বেশি। তাই গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবাকে অনতিবিলম্বে ঢেলে সাজাতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কার্যকর তদারকি করতে হবে। বর্তমানে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই গ্রামের। অথচ, তারা এখনও টিকার আওতায় আসেনি। গ্রামে বসবাসকারী মানুষ আর্থিকভাবে শহরের মানুষের সমকক্ষ নয়। অতএব, বিষয়টি বিবেচনা করে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই বেসরকারি পর্যায়ে করোনার চিকিৎসা ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। আরেকটি কথা বলে রাখা ভালো যে, আমরা যতই স্বাস্থ্যবিধির কথা বলি না কেন, যতই লকডাউনের কথা বলি, বা যতই নতুন নতুন পদ্ধতির কথা বলি না কেন মানুষ হিসেবে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলি, মাস্ক ব্যবহার না করি, নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার না করি এবং শারীরিক দূরত্ব না মান্য করি তাহলে কিছুতেই কিছু হবে না। অতএব, লকডাউন-শাটডাউন না দিয়ে বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বিষয়ে গণসচেনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে নজরদারি বাড়ানো দরকার। করোনা মহামারী মোকাবেলা করা কোনো সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার ইচ্ছে করলেও তা একা করতে পারবে না। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও করতে পারবে না। এই করোনা মোকাবেলা করতে হলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষে সমন্বয়েই তা করতে হবে। একাজে সকল রাজনৈতিক ও পেশাজীবী মানুষ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। মানুষকে টিকা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
লেখক: প্রফেসর, আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিকাদান


আরও
আরও পড়ুন