নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথমটি ভারত, পরেরটি জিতল শ্রীলঙ্কা। লড়াইটা হলো জম্পেশ। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ালো অলিখিত ফাইনাল। জন্মদিনে এমন মঞ্চে বল হাতে আলো ছড়ালেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। এই লেগ স্পিনারের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ভারত করতে পারল না একশও। অল্প রানের লক্ষ্যে বাকি কাজ সারলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। দলটির বিপক্ষে তারা তুলে নিল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সিরিজ জয়।
গতপরশু রাতে শেষ হওয়া কলম্বোয় তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের সিরিজটি স্বাগতিকরা জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম সিরিজে এসে ভারতকে হারাতে পারল তারা। সবমিলিয়ে সময়টা অপেক্ষাটা ছিল ১৩ বছরের। আর টানা ৮টি সিরিজ জয়ের পরে টি-টোয়েন্টিতে ট্রফি হারালো ভারত।
লঙ্কান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। দুই অঙ্কে যাওয়া তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ কুলদিপ যাদবের ২৩। তাতে ৮ উইকেটে ৮১ রান তোলে তারা। এই রান ৩৩ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে দাসুন শানাকার দল। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। টি-টোয়েন্টিতে যা ভারতের বিপক্ষে যেকোনো বোলার সেরা বোলিং। পরে ব্যাট হাতে ৯ বলে ১৪ রান করে তিনিই ম্যাচ সেরা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ক্রুনাল পান্ডিয়ার সংস্পর্শে আসায় ভারতের আরও আটজন ক্রিকেটারকে যেতে হয়েছে আইসোলেশনে। একাদশের ভারসাম্য রাখতে হিমশিম খাওয়া ভারত আগের ম্যাচেই হেরেছিল ১৩২ রানে গুটিয়ে গিয়ে। ভুবনেশ্বর কুমারকেও আসতে হয়েছে ছয়ে ব্যাট করতে।
এবার তারা ফিরিয়ে আনল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের স্মৃতি। ৬৩ রানেই ৮ উইকেট হারানোর পর নিজেদের সর্বনিম্ন ৭৪ রানের স্কোরের রেকর্ডটা ভাঙতে বসেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত কুলদীপ যাদবের ২৮ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে সেটি এড়িয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে এটি এখন ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
নিজেদের একটা রেকর্ড এদিন ঠিকই ভেঙেছে শিখর ধাওয়ানের দল। ২০ ওভার ব্যাট করে এর আগে কখনোই এত কম রানে আটকে যায়নি তারা। সর্বশেষ ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নটিংহ্যামে ২০ ওভার ব্যাট করেও ভারত তুলতে পেরেছিল ১১৮ রান। সেবারও ৮ উইকেট হারিয়েছিল তারা।
ছোট লক্ষ্য তাড়াতেও শুরুতে হোঁচট খেয়ে বসেছিল শ্রীলঙ্কাও। ৩৫ রানে খুইয়ে বসে দুই ওপেনারকে। পরে দনঞ্জয়া ডি সিলভার দৃঢ়তায় জয়ের দিকে এগুতে থাকে স্বাগতিকরা। সেই সময় ফের নিজের ও লঙ্কান তৃতীয় উইকেট সামারাবিক্রমার শিকারী করেন রাহুল চাহার। সেটি কেবল উৎসব বিলম্বিতিই করেছে, দমাতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।