মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ আফগানিস্তানের শহর কান্দাহার ঘিরে ফেলেছে তালেবান। শহরের প্রাণকেন্দ্রে না এলেও, নিয়মিত তারা শহরে ঢুকে ‘শত্রু’দের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। খবর ডয়চেভেলের। কান্দাহার আফগানিস্তানের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
খবরে বলা হয়েছে, গোটা কান্দাহার ঘিরে ফেলেছে তালেবান। স্থলপথ বন্ধ, রাজধানী শহর কাবুলে এখনও বিমানে যাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে কান্দাহার ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যাচ্ছে না। দোকানপাট অধিকাংশ সময়েই বন্ধ থাকছে। খোলা থাকলেও তারা যেতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, গোটা সীমানা জুড়ে লড়াই চলছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে তালেবান একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনও দখল করেছে বলে শোনা গেছে।
সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী অথবা সরকারের কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবান।
তালেবান অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, মানবাধিকার মেনেই তারা লড়াই করছেন। কান্দাহারে সাংবাদিকদের একটি দল নিয়ে গিয়ে তারা পরিস্থিতি দেখাবে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র। তার দাবি, ইসলামের আইন মেনেই তারা কান্দাহারে লড়াই করছেন।
এদিকে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে কান্দাহারে আটক করেছে আফগান সরকার। অভিযোগ, টেলিভিশন এবং রেডিও-র ওই সাংবাদিকরা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ নাইম জানান, তালেবান হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, সরকারের এমন অভিযোগ তদন্ত করতেই ওই চার সাংবাদিক সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তাদের (সাংবাদিকদের) একমাত্র অপরাধ ছিল তারা সত্য প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
গ্রেপ্তার চার সাংবাদিককে শিগগিরই মুক্তি দিতে সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তানের জার্নালিস্ট সেফটি কমিটি। বিচারবহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছে তারা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে গত দুই মাসে বিদ্রোহী তালেবান গোষ্ঠী যত এলাকার দখল নিয়েছে, ২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কখনওই এত বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে আসেনি।
গত ২০ বছরে, আফগানিস্তানের কোন অংশ কার দখলে তার মানচিত্র ক্রমাগত বদলেছে। দেখা যাচ্ছে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের সাথে সাথে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তালেবানের হাত কার্যত আরও শক্ত হয়েছে। তারা সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে বহু জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।