Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিকিৎসা ঋণে জর্জরিত ভারতীয়রা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

চলতি বছরের শুরুর দিকে কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পড়ে ভারত। দ্রুতই সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করে। মে মাসে দৈনিক সংক্রমণ চার লাখের সীমাও পেরিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়ে হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবা। হাসপাতালে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নেয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়। আবার হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ঋণের দিকে ঝুঁকতে হয় ভারতীয়দের। বর্তমানে মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থা পার হলেও ভারতীয়রা এখন চিকিৎসা ঋণে জর্জরিত।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে কভিডের সংক্রমণের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে জীবনযাপন। তবে লাখ লাখ মানুষের দুঃস্বপ্ন হয়ে থেকে গেছে পাহাড় পরিমাণ চিকিৎসা ঋণ। বেশির ভাগ ভারতীয়ের স্বাস্থ্য বীমা নেই। এজন্য কভিডের চিকিৎসা ব্যয় তাদের ঋণের সমুদ্রে ডুবিয়েছে। প্রথমদিকে আত্মীয়-স্বজন থেকে ধার করে ব্যয় মেটানোর চেষ্টা করলেও অবশেষে তাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। অনিল শর্মা তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে সৌরভকে নয়াদিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। দুই মাসেরও বেশি সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হয়। তাকে ভেন্টিলেটরও লাগানো হয়েছিল। গত সপ্তাহে সে বাড়িতে ফিরেছে। দুর্বল থাকলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। এ খবর পরিবারকে আনন্দ দিতে পারলেও ঋণের বোঝা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শর্মা। শর্মা তার সঞ্চয় দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, পরীক্ষা, ওষুধ ও আইসিইউ বিছানার ব্যয় মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।

তিনি জানান, ব্যয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার বন্ধু ও আত্মীয়দের থেকে ধার করেছিলেন। তবে ব্যয় মেটাতে না পেরে তিনি ভারতীয় একটি ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইট কেটোতে অনলাইনে সহায়তার আবেদন করেন। সব মিলিয়ে মেডিকেল বিলে ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি পরিশোধ করেছেন শর্মা। কেটো থেকে ২৮ হাজার ডলার সংগ্রহ হয়েছিল। তবে বাকি ২৬ হাজার ডলার নেয়া ঋণ তাকে পরিশোধ করতে হবে। তিনি বলেন, সৌরভ তার জীবনের জন্য লড়াই করে যাচ্ছিল এবং আমরা তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছিলাম। এ কথা বলতেই অনিল শর্মার কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। তিনি বলেন, আমি একজন গর্বিত বাবা এবং এখন ভিক্ষুক হয়েছি।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইম্ফল শহরের ডায়ানা খুমান্থেমের মা ও বোন মে মাসে কভিডে আক্রান্ত হয়েছিল। দুজনের চিকিৎসা ব্যয় পরিবারের সব সঞ্চয় নিশ্চিহ্ন করে দেয়। তার বোন মারা গেলে বেসরকারি হাসপাতালে ৫ হাজার ডলার বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত শেষকৃত্যের জন্য ছাড়েনি। পরে ডায়ানা পরিবারের গহনাগুলো বন্ধক ও ধার করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন। এপি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণ

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ