মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শ‚ন্যে নামিয়ে আনতে চায় চীন। আবহাওয়া পরিবর্তনে ক্ষতিকর গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ বন্ধে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এ প্রকল্প চালুর বিষয়ে কাজ করছিল দেশটি। কার্বন নিঃসরণে ট্রেডিং প্রকল্প নামে এটি চালু করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ফলে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় শিল্প-কারখানাগুলোর দূষণের পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হতে যাচ্ছে। ফলে কোনো প্রতিষ্ঠান দূষণ করতে চাইলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কম কার্বন নিঃসরণ শর্তে অনুমতি কিনতে হবে। এক দশক আগে দেশের কার্বন বাজারের জন্য পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল চীন সরকার। কিন্তু কয়লা খাতসংশ্লিষ্টদের লবিং ও বিভিন্ন নীতিমালার কারণে সে পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি, যা পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবের সৃষ্টি করে। এ প্রকল্পের ফলে চলতি বছর ৮০ কোটি ডলার সমমূল্যের অনুমতিপত্র কেনা হবে বলে ধারণা করছে সিটিগ্রুপ, এ দশক শেষে যার পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। ফলে চীনের অর্থনীতি ইউরোপ বাজারের এক-তৃতীয়াংশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, চীনের ২ হাজার ২২৫টি বড় শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জ্বালানি তেল পোড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় ৭ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের জ্বালানি তেল পোড়ানোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে। এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের উপপরিবেশমন্ত্রী ঝাও ইমিং বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে চীন ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি ২০৬০ সাল নাগাদ শূন্য নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে। তবে পরিবেশবিদদের দাবি, এ উদ্যোগের ফলে সহসাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা যাবে না। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এ কার্বন নিঃসরণ বন্ধে আরো সময় লাগবে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের প্রধান গবেষক লরি মিলিভিরতা বলে, এ প্রকল্পের বিষয়ে সবাই উচ্চাকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছিলেন। যেটি মূলত উড়োজাহাজ ও পেট্রোকেমিক্যালসহ সাতটি খাতকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে বলে আশা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে শিল্পের বিকাশে জ্বালানি উৎপাদন খাতে চীন সরকার কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। যে কারণে দেশে কয়লা, সিমেন্ট ও স্টিলের উৎপাদন অধিক হারে বেড়েছে। কার্বন নিঃসরণে লাগাম টানতে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেটি এ বৃদ্ধির মডেলে আঘাত হানবে। ফরচুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।