নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর্জেন্টিনার রোজারিওতে ডিয়েগো ম্যারাডোনার নামে আলাদা একটা ‘ধর্ম’ই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- ‘ইগলেসিয়া ম্যারাডোনিয়ানা’। ইংরেজিতে বললে ‘চার্চ অব ম্যারাডোনা’। ১৯৯৮ সালের ৩০ অক্টোবর তিন আর্জেন্টাইন ভক্ত মিলে এই ধর্ম ও উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ম্যারাডোনার জন্মসাল ১৯৬০ থেকে তারা বছর গণনা করেন। এ ছাড়া ‘ডি১০এস’ নামে একটি প্রতীকও তারা ব্যবহার করেন। স্প্যানিশ ভাষায় ‘দিওস’ নামের অর্থ হলো ‘ঈশ্বর’। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে নিয়ে এবার মেক্সিকোতেও একটি গির্জার নামকরণ করা হলো। এটি দেশটির প্রথম ‘ম্যারাডোনিয়ান চার্চ’।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গির্জার সামনে দুটো ফুলদানির ওপর ফুটবল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ফটক দিয়ে ঢোকার পথে ডান পাশে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা ম্যারাডোনার হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবি এবং মাথায় ঐতিহ্যবাহী মেক্সিকান টুপি। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতানো কিংবদন্তি গত বছরের ২৫ নভেম্বর দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান।
গির্জার ভেতর পুরোটাই ম্যারাডোনার জীবননির্ভর। ধর্মীয় ক্রসও ম্যারাডোনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বানানো হয়েছে। রয়েছে তার শৈশবের ছবি এবং কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ও পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ম্যারাডোনার সাক্ষাতের মুহূর্তের ছবি। মেক্সিকোর পুয়েবলা শহরে অবস্থিত এ গির্জা ৭ জুলাই খুলে দেওয়া হয়। রোজারিওতে ২৩ বছর আগে ‘ইগলেসিয়া ম্যারাডোনিয়ানা’ নামে যে ধর্মের উদ্ভব ঘটানো হয়, সেটাই পালিত হয় এই গির্জায়। রয়টার্স জানিয়েছে, ম্যারাডোনার নামে এ ধর্ম বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনুসারীর সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি।
স্পেন ও ইতালির ক্লাব ফুটবলে খেলা ২২ বছর বয়সী আন্দ্রেয়া হার্নান্দেজ মেক্সিকোয় ম্যারাডোনার এ গির্জায় এসে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার মা-বাবা ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। তাদের কাছে এটা স্রেফ পাগলামি। কিন্তু আমরা যারা ফুটবল খেলি, তাদের কাছে মেক্সিকোয় ম্যারাডোনার এমন স্বীকৃতি পাওয়া দারুণ ব্যাপার।’ সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনার জন্য এই গির্জা খুলেছেন মার্সেলো বুখেট। তার ভাষ্য, ‘এটা এমন এক জায়গা, যেখানে আমরা ফুটবল নিয়ে কথা বলতে পারি। অন্যান্য গির্জার মতো নয়, যেখানে গিয়ে শুনতে হয়। এখানে আপনি সবকিছুর অংশ। লোকে তা মেনে নিয়েছে। তারা আনন্দিত। আমি লোকজনকে এখানে কাঁদতে দেখেছি, ছবি জড়িয়ে ধরতে দেখেছি, তখন খুব ভালো লাগে যে আমিই একমাত্র পাগল নই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।