Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যারাডোনার সেই জার্সিতে এখনও ঘামের গন্ধ!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

জার্সিটা ফুটবল সমর্থকদের কাছে অমূল্য। যে দুটি গোল করেছেন সেই জার্সিতে, ফুটবল ইতিহাসে তা চিরস্থায়ী আসন পেয়েছে। প্রথমে ‘হ্যান্ড অব গড’ এবং পরেরটি সম্ভবত বিশ্বকাপের ইতিহাসেরই সেরা গোল। এই তথ্যের পর ডিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সিটি কোন বিশ্বকাপে, কোন ম্যাচে পরেছিলেন তা নিশ্চয়ই আর বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না!
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নীল রঙের যে জার্সিটি পরেছিলেন ম্যারাডোনা, এত দিন পর সেটির প্রসঙ্গ ওঠার কারণ, নিলামে উঠেছে ’৮৬ বিশ্বকাপ মহানায়কের সেই জার্সি। প্রথম দরই হাঁকা হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ ডলার। খেলাধুলায় কোনো ম্যাচে পরা জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ ৫৬ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে। বেসবল কিংবদন্তি বেব রুথ নিউইয়র্ক ইয়াঙ্কিসে যে জার্সি পরতেন, সেটি ২০১৯ সালে এই দামে বিক্রি হয়। ম্যারাডোনার জার্সিটি নতুন রেকর্ড গড়বে এমনই প্রত্যাশা সবার। তবে এই জার্সিটি কে নিলামে তুলেছেন, কেন তুলেছেন, কীভাবে তার হাতে এই জার্সি পৌঁছাল- সেসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসুন জেনে নিই।
২২ জুন, ১৯৮৬। আজটেকা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে দুটি জার্সি ব্যবহার করেন ম্যারাডোনা। দ্বিতীয়ার্ধে পরা জার্সিতে করেন সেই ঐতিহাসিক দুটি গোল। শেষ বাঁশি বাজার পর টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরছিল আর্জেন্টিনা দল। তখন ইংল্যান্ড দলের মিডফিল্ডার স্টিভ হজ ম্যারাডোনার কাছে জার্সিটি চান। অর্থাৎ বিরতির পর যে জার্সিটি পরে ওই দুটি গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা, সে জার্সিটাই চেয়েছিলেন স্টিভ হজ। ২০১০ সালে প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীতে এ নিয়ে জানিয়েছেন হজ, ‘ভাবলাম, আর তো এখানে আসা হবে না। একটা জার্সি সংগ্রহ করলে কেমন হয়! ম্যারাডোনার সঙ্গে হাত মেলাই। এরপর ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে দেখি ম্যারাডোনা হাঁটছেন দুজনের সঙ্গে। তার চোখে তাকিয়ে জার্সিটা দেখিয়ে ইশারা করলাম “অদল-বদলের সুযোগ আছে?” ধন্যবাদের সঙ্গে তিনি জার্সিটি অদল-বদল করেন।’
এমনই আবেদন সেই জার্সির যে নিজের আত্মজীবনীর নামই স্টিভ হজ রেখেছেন ‘দ্য ম্যান উইথ দ্য ম্যারাডোনাস শার্ট!’ সে বইয়ে স্টিভ হজ আরও জানান, ‘ইংল্যান্ডে ফিরে নিজের ঘরে জার্সিটি ২০০২ সাল পর্যন্ত রেখে দিই। তখন টিভিতে দেখলাম, ১৯৭০ বিশ্বকাপে পরা পেলের জার্সি নিলামে দেড় লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। ব্রাজিল-চেকোস্লােভাকিয়া ম্যাচে এক স্লােভাক খেলোয়াড় জার্সিটি পেয়েছিলেন। তখনই বুঝে যাই, ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের জার্সিও এমন আলোচনায় উঠে আসতে পারে। আমি জার্সিটি কখনো ধুইনি, এখনো তার ঘামের গন্ধ ও ডিএনএ পাওয়া যাবে।’
২০২০ সালের নভেম্বরে প্রয়াত হওয়া ম্যারাডোনা ছিয়াশি বিশ্বকাপে সে দিন হজের জার্সিটি নিলেও সেটি তিনি রেখে দেননি। আর্জেন্টাইন সতীর্থ অস্কার গ্যারের সঙ্গে অদলবদল করেন। গ্যারি লিনেকারের সঙ্গে জার্সি অদলবদল করেছিলেন গ্যারে। লিনেকার ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন, এদিকে ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সি খুব পছন্দ। ড্রেসিংরুমে গিয়ে গ্যারেকে হজের জার্সিটি দিয়ে লিনেকারের জার্সি নেন ম্যারাডোনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ম্যারাডোনার সেই জার্সিতে এখনও ঘামের গন্ধ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ