Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগান সেনাবাহিনীর পরাজয়ের মাত্রা ও গতিতে হতবাক বিশ্ব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি স্বাক্ষরের পরে শরৎকালে কাবুলের বেশিরভাগ সিনিয়র সিকিউরিটি কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসাদুল্লাহ খালিদ পরিসংখ্যান তুলে ধরে গনিকে বলেন, আফগান সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে পুনরায় ঢেলে সাজানো দরকার। প্রত্যন্ত ফাঁড়ি, গ্রামাঞ্চল এবং জেলা কেন্দ্রিক সুরক্ষা ভবনগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া উচিত। সেখান থেকে ফিরে আসা সেনা ও গোলাবারুদ আরো গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি রক্ষার জন্য লড়াইয়ে মনোনিবেশ করতে পারে, যেমন মূল রাস্তা এবং সীমান্ত পারাপারের মতো ক্ষেত্রগুলো। মার্কিন বিমান বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা হারানোয় তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই এই কৌশলগত পশ্চাদপসরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গনি এবং তার জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মহিব, যাদের একাধিক মর্যাদাপূর্ণ ডিগ্রি রয়েছে তবে যুদ্ধক্ষেত্রের কোন অভিজ্ঞতা নেই, তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মহিব বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের দেশের এক ইঞ্চিও ছাড়ছি না।’ তবে সরকার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এক বছরেরও কম সময় পরে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল - সেই প্রত্যন্ত চৌকিগুলো এবং আরও অনেক শহর - তালেবানদের হাতে পড়েছে এবং হাজার হাজার সরকারী সৈন্য তাদের সরঞ্জাম ও অস্ত্র হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বা আত্মসমর্পণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন আশঙ্কা করছে যে কয়েক মাসের মধ্যেই কাবুলের পতন ঘটতে পারে।

ক্ষয়ক্ষতি রোধে হতাশ সরকার দেশটির যুদ্ধবাজ নেতাদের এবং আঞ্চলিক শক্তিবৃন্দকে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এতে নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছরেই গণি সরকার এই গোষ্ঠীগুলো দমনের চেষ্টা করেছিলেন। বর্তমানে একটি বিষয়ে সবাই একমত হতে পারে যে, আফগান সুরক্ষা বাহিনীর পতনের মাত্রা বা গতি কারো পক্ষেই আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব না। এমনকি যারা কৌশলগত পশ্চাদপসরণ চেয়েছিলেন, তারাও এত দ্রুত পতনের আশঙ্কা করেননি।

কাঠামোগত এবং কৌশলগত উভয় ক্ষেত্রেই আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ দীর্ঘকাল ধরে সমস্যায় রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা তালেবানদের পতনের পরে আফগান সুরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলতে কালক্ষেপন করেছিল। বর্তমানে যদিও সরকারী বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়, তবুও তারা সংখ্যায় বড় এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই এই চাকরী ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। দেশ এবং তার নেতৃত্বের সামনে এখন প্রশ্ন হ›ল, সাম্প্রতিক পরাজয়ের ধারাবাহিকতায় তারা পুনরায় দলবদ্ধ হয়ে তালেবানদের আটকাতে সক্ষম হবে কিনা। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।



 

Show all comments
  • আজহার মিডিয়া ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
    এরা আল্লাহর সৈনিক। এই তালেবানদের সাথে হাজার ফেরেশতা আছে
    Total Reply(0) Reply
  • Reply ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
    May Allah wipe out Murtard, Taghut Afghanistan government and give victory to Mujahid Taliban. Ameen.
    Total Reply(0) Reply
  • গোবিন্দ দেবনাথ ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৪৯ এএম says : 0
    তালেবানরা ওদেশে এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ৩ লাখ সরকারি সেনারা মাত্র ৭৫ হাজার তালেবানদের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে এবং পরাজিত হতে থাকা প্রমাণ করে তালেবান এখন খুবই সাহসী,, আফগান সরকারের পক্ষে তালেবানকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আর নেই মনে হচ্ছে আমার কাছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Hossain Khan ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৪৯ এএম says : 0
    আফগানিস্তানের ইতিহাস পড়ে দেখুন। আফগানিস্তানে কোনো বিদেশি শক্তি কোনো সময়ই টিকতে পারিনি তা সে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে হোক কিংবা সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা নেট্যো জোটই হোক। এজন্য তারা আফগানিস্তান এর নাম দিয়েছে ‘ Graveyard OF Empires ’ ।কি লাভ হলো এতো বছর শান্তির নাম করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে ২০ বছর আগ্রাসণ চালিয়ে? বরং এতে সাধারণ নিরীহ মানুষ নিহত এবং আমেরিকার ২.২৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। বিশ্বকে আফগানদের উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত তাদের নিজেদের ভবিষ্যতে নিধারণে
    Total Reply(0) Reply
  • Priyojit Das ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৪৯ এএম says : 0
    তালেবানের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এটা আমোরিকার কোন রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • SK Akash ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৫০ এএম says : 0
    অচিরেই নতুন সিদ্ধান্ত হবে আফগান নিয়ে।আফগানিস্তানে ন্যাটো সৈন্যর প্রয়োজনীয়তা বিশ্ববাসীকে বোঝানোর জন্য ওরাই এগুলো করাচ্ছে।এতে যারা খুশি হচ্ছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন মনে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Torik Aual ১৪ জুলাই, ২০২১, ১:৫০ এএম says : 0
    শুভকামনা তালেবান তথা আফগানিদের জন্য। তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে আসুক এবং ইসলামি শাসনে দেশ পরিচালিত হউক, দোয়া রইলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ