Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানিস্তান থেকে এবার সব সৈন্য সরিয়ে নিলো অস্ট্রেলিয়া

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২১, ১:৪৭ পিএম

জার্মানি এবং ইতালির পর আফগানিস্তান থেকে এবার নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিলো অস্ট্রেলিয়াও। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণের অবসানের খবর জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। খবর এএফপি’র।
আজ রোববার (১১ জুলাই) স্কাই নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন।
গত এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ আফগানিস্তানে থাকা তাদের অবশিষ্ট সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। সংঘাতপূর্ণ এ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান অবসানে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যানবেরা এ ঘোষণা দেয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক ৮০ শতাংশ সৈন্য ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে’ আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এর মানে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের কোন অংশ হতে চাই না তা নয়। বরং আমরা মনে করি এটা আমাদের জাতীয় স্বার্থের বা আমাদের মিত্র দেশগুলোর স্বার্থের একটি অংশ।’
তিনি বলেন, ‘আপাতত এ সামরিক অভিযানের অবসান ঘোষণা করা হচ্ছে।’
তালেবান ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর নেতৃত্বে অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২০ বছরে অস্ট্রেলিয়া ৩৯ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছিল। আর এ মিশনে অস্ট্রেলিয়ার কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। সেই সঙ্গে দেশটির ৪১ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে। সূত্র : এএফপি



 

Show all comments
  • Afganistan jindabad ১৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 0
    লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই, মুহাম্মদ সা. তাঁর রাসুল) প্রিয় ভাই! এটা হলো কালিমায়ে তাইয়েবা (মহা পবিত্র বাক্য)। ইসলামে প্রবেশের একমাত্র দরজা। এর উপর স্থাপিত দ্বীন ও ঈমানের আকাশ-ছোঁয়া মিনার। আজন্ম কাফের-মুশরিকও যদি এ কালিমা গ্রহণ করে এবং বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করে তাহলে মুহূর্তের মধ্যে সে মুমিন ও মুসলমানরূপে আত্মপ্রকাশ করে; দুনিয়া ও আখেরাতের চির মুক্তি ও নাজাতের অধিকারী হতে পারে। তবে শর্ত হলো এ কালিমার মাধ্যমে মহান আল্লাহর তাওহীদ এবং প্রিয় নবীর রেসালাতের যে স্বীকৃতি সে দান করলো তাকে তা বুঝতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে এবং মনে প্রাণে মেনে নিতে হবে। কিন্তু সে যদি তাওহীদ ও রেসালাতের মর্ম মোটেই বুঝতে না পারে, শুধু মুখে উচ্চারণ করে, তাহলে আল্লাহ তাআলার নিকট সে মুসলমানরূপে গণ্য হতে পারবে না। এ-জন্য কালিমায়ে তাইয়েবার অর্থ ও মর্ম শিখে নেওয়া জরুরি। কালিমার প্রথম অংশ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর মাঝে আল্লাহ তাআলার তাওহীদের স্বীকারোক্তি নিহিত। এই স্বীকারোক্তির মর্ম ও মতলব হলো, মহান আল্লাহর সত্ত্বা ব্যতীত এমন কিছু নেই, যা ইবাদত ও উপাসনার উপযুক্ত হতে পারে। বরং ইবাদত-বন্দেগী কেবলি আল্লাহ তাআলার প্রাপ্য। তিনিই ¯্রষ্টা, তিনিই কর্তা, রিযিকদাতা, পালনকর্তা। শুধু তিনিই জীবনদাতা, কেবল তিনিই মৃত্যুদাতা, রোগদাতা-আরোগ্যদাতা। উপকার-অপকার, স্বচ্ছলতা-দরিদ্রতা মোটকথা, জগতের সকল ভাঙ্গাগড়ার একমাত্র মালিক তিনি। আসমান জমিনের সবকিছু মানুষ হোক, ফেরেশতা হোক অন্য আর যাইহোক সবই তাঁর সৃষ্টি, তাঁর হুকুমের গোলাম। কোনো সমকক্ষ নেই তাঁর। তাঁর রাজত্বে কারো কোন অংশ নেই। কারো কোনো শক্তি নেই তাঁর কাজে ব্যাঘাত ঘটাবার। সুতরাং তিনিই, শুধুই তিনি ইবাদতের উপযুুক্ত। সুখে-দুঃখে হৃদয় কেবলি তাঁর দিতে ছুটে যাবে। বিপদে-আপদে, জীবনের সকল প্রয়োজনে মানুষ তাঁরই দরবারে হাত ওঠাবে, অশ্রু ঝরাবে এবং ফরিয়াদ জানাবে। তিনি প্রকৃত বাদশাহ। দুনিয়ার সমস্ত হাকিমের চেয়ে বড় তিনি। মহীয়ান তিনি। গরীয়ান তিনি। সুতরাং তাঁরই হুকুম মান্য করা উচিৎ। পরম আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে শুধু তাঁর হুকুম মোতাবেক জীবন যাপন করা উচিত। তাঁর হুকুম লংঘন করে কখনো কারো কথায় কর্ণপাতই করা উচিৎ নয়। সে যেই হোক; দেশের সরকার, বংশের সরদার, আপন পিতা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এমনকি নিজের দিলের চাহিদা কিংবা অন্তরের প্রত্যাশা হলেও না। আমরা আল্লাহ তাআলাকেই ইবাদতের উপযুুক্ত বলে জেনেছি, মেনে নিয়েছি এবং তাঁর গোলামি এখতিয়ার করে নিয়েছি। এবার আমাদেরকে আমেিদর বিশ্বাসের অনুরূপ কাজ করে দেখাতে হবে। দুনিয়াদারেরা যেন বুঝতে পারে, আমরা এক আল্লাহর গোলাম। আমরা কেবল আল্লাহর হুকুম মতো চলি। আল্লাহর জন্য বাঁচতে চাই, আল্লাহর জন্যই মরতে প্রস্তুত থাকি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- এটা আমাদের স্বীকৃতি ও ঘোষণা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- এটা আমাদের বিশ্বাস ও চেতনা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- এটাই আমাদের কাজ ও প্রেরণা।হে প্রিয় ভাই! ঈমানী প্রাসাদের প্রথম ইট হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এটাই ছিলো উম্মতের প্রতি সকল নবী-রাসুলের প্রথম সবক। দ্বীনের সকল বিষয়ের মাঝে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর মর্যাদা সর্বাধিক। নবীজী ইরশাদ করেন, الْإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ: أَفْضَلُهَا قَوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা রয়েছে। তার মাঝে সর্বোত্তম শাখা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর প্রবক্তা হওয়া। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬৭৬ এ জন্য সমস্ত যিকিরের মাঝে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। এক হাদীসে এসেছে, أَفْضَلُ الذِّكْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ যিকির সমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ যিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩৮০০ অপর একটি হাদীসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে বলেন, يَا مُوسَى لَوْ أَنَّ أَهْلَ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعِ فِي كِفَّةٍ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فِي كِفَّةٍ، مَالَتْ بِهِمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. أَخْرَجَه النَّسَائِيُّ بِسَنَدٍ صَحِيحٍ كما قال ابن حجر في فتح الباري. হে মুসা! সাত তবক আসমান-জমিন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, সবি যদি এক পাল্লায় রাখা হয়, আর অন্য পাল্লায় শুধু ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়, তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর পাল্লাই ভারী হয়ে যাবে। সুনানে কুবরা নাসাঈ, হাদীস নং ১০৬০২ কালিমায়ে তাইয়েবার এই অংশটুকুর এত ওজন ও ফজিলত এজন্য যে, এর ভেতর আল্লাহ তাআলার তাওহীদ ও একত্ববাদের স্বীকৃতি রয়েছে। তাঁর ইবাদত করা এবং তাঁর হুকুম মতো চলার অঙ্গীকার নিহিত আছে। এটাই ঈমানের রূহ এবং প্রাণস্পন্দন। নবীজী উম্মতকে বারবার এই কালিমা পাঠ করে ঈমান তাজা করার জন্য নসীহত করেছেন جَدِّدُوا إِيمَانَكُمْ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، وَكَيْفَ نُجَدِّدُ إِيمَانَنَا؟ قَالَ: أَكْثِرُوا مِنْ قَوْلِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ. قال الهيثمي إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ. হে লোকসকল! তোমরা সব সময় তোমাদের ঈমানকে তরতাজা রাখার চেষ্টা করো। কতক সাহাবী আরজ করলেন, ঈমান তাজা রাখার উপায় কী? নবীজী ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর যিকির করো। মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৮৭১০আমার দ্বীনি ভাই বোন! আসুন, এই কালিমার হাকীকত ও মাহাত্য অন্তরে নিয়ে আমরা তাওহীদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দিই। এই কালিমার দাবী অনুসারে আপন আপন জিন্দেগী পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিই। অন্যথায় আমাদের এই সাক্ষ্য ধোকা ও প্রতারণা বলে সাব্যস্ত হবে। আমাদের ঈমান ও ইসলাম শংকার ভিতর পড়ে যাবে। অথচ এই কালিমা আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তির মূলমন্ত্র। ঈমান ও ইসলামের প্রথম বুনিয়াদ। সুতরাং পরম ভক্তি ও সুগভীর বিশ্বাসের সঙ্গে বলি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ- এটা আমার স্বীকারোক্তি, এটা আমার ঘোষণা । লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ- এ বিশ্বাস আমার, এই চিন্তা-চেতনা আমার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এটাই দাওয়াত আমার, জীবনসূত্র আমার। এরই প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় জীবন আমার, মৃত্যু আমার।মোটকথা নবীর উপর ঈমান আনার উদ্দেশ্য নবীর কথা সত্য বলে বিশ্বাস করা, তার বাতানো হেদায়েত ও শিক্ষাকে আল্লাহ তাআলার হেদায়েত ও শিক্ষা বলে মনে করা এবং তাঁর শেখানো তরিকার উপর চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি মুখে কালিমা পড়ে নিয়েছে, কিন্তু নবীজীর আনীত সকল বিষয়কে সত্য মনে করে না, নবীজীর তরিকার বিপরীত সকল মত ও পথকে অকার্যকর জ্ঞান করে না, নবীজীর দেয়া শরীয়ত মোতাবেক জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নেয় না, আসলে সে মুসলমানই নয়। সম্ভবত সে মুসলমান হওয়ার অর্থই বুঝেনি। আমরা যখন কালিমা পড়ে নবীজী সাল্রাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলার সত্য নবী বলে স্বীকার করলাম, তখন তাঁর হুকুম মতো চলা, তাঁর দেয়া শরীয়ত অনুযায়ী আমল করা এবং তাঁর সকল কথা মান্য করা আমাদের উপর অপরিহার্য। কালেমায়ে তাইয়েবা: একটি শপথ একটি অঙ্গীকার কালিমার উভয় অংশের ব্যাখ্যা থেকে আপনি অনুভব করতে পেরেছেন যে, কালিমা যেন এক মহিমাময় শপথবাক্য। যার সার কথা হলো, আমি কেবল আল্লাহ তাআলাকে ইবাদতের উপযুক্ত মনে করি, দুনিয়া ও আখেরাতের সকল বিষয় তার কুদরতের কব্জায় রয়েছে বলে বিশ্বাস করি। সুতরাং আমি তাঁরই বন্দেগী ও গোলামি করি। তাঁকে ভালোবাসি, তাঁর হুকুম মতো জীবন পরিচালনা করি এবং আমি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলার প্রেরিত সত্য নবী বলে স্বীকার করি। জীবনের সকল বিষয়ে আমি তাঁর আনুগত্য করি, তাঁর আনীত হেদায়েতের অনুসরণ করি। এ-ভাবে শপথ নেওয়াকেই বলে ঈমান আনা, তাওহীদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দেওয়া। সুতরাং এই একরারনামা স্মরণ রাখা এবং এর দাবী অনুসারে জীবন গড়া প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। তাহলে সে জান্নাতের হকদার হতে পারবে, আল্লাহ তাআলার নিকট সাচ্চা মুমিনের মর্যাদা লাভ করবে। যে ব্যক্তি খাঁটি দিলে কালিমার দুই অংশ তথা তাওহীদ ও রেসালাত স্বীকার করবে এবং কাজেকর্মে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে, এমন খোশনসীব বান্দার জন্য বড় সুসংবাদ! নবীজী ইরশাদ করেন, مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ، حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ النَّارَ যে ব্যক্তি খাঁটি মনে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’-এর স্বাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ পাক তার উপর জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭ এই কালিমার যিকির দ্বারা ঈমান তাজা হওয়ার কারণ হলো এতে আল্লাহ তাআলার বন্দেগীর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়। সর্বাবস্থায় তাঁর প্রতি নিবিষ্ট এবং তাঁর মুহাব্বত ও ভালোবাসায় নিমগ্ন থাকার প্রেরণা সৃষ্টি হয়। সুতরাং যত গভীর ধ্যান ও পরম উপলব্ধির সঙ্গে আমরা বেশী বেশী এই কালিমার যিকির করবো, নিশ্চিতভাবে আমাদের ঈমান সে পরিমাণ তাজা হতে থাকবে, ঈমানের মজবুতি ততই বাড়তে থাকবে ইনশাআল্লাহ। এভাবে এক সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’এর যিকিরই আমাদের সর্বক্ষণের আমল হয়ে যাবে এবং এর দাবী অনুযায়ী জীবন যাপন আমাদের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হবে। সুতরাং, হে মুসলমান ভাই! আসুন আমরা খাঁটি দিলে ধ্যানের সঙ্গে বেশী বেশী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ যিকির করি, যাতে আমরা ঈমান তাজা রাখতে পারি। আমাদের জীবনকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর ছাঁচে ঢেলে সাজাতে পারি। কালিমার দ্বিতীয় অংশ: মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ কালিমার এই অংশে মুহাম্মদ সাল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার নবী হওয়ার ঘোষণা রয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নবীজীকে পৃথিবীবাসীর হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করা এবং কোরআন আল্লাহ তাআলার বাণী হওয়া, ফেরেশতার বিদ্যমানতা, কেয়ামত সংঘটিত হওয়া, মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত হওয়া, নেককারের জন্য জান্নাত এবং বদকারের জন্য জাহান্নামের ফয়সালা হওয়া ইত্যাদি যত সংবাদ নবীজী দান করেছেন, সবই ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাস করা। নবীজী আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অকাট্য ও নিশ্চিত জ্ঞান লাভের পর উম্মতকে তা জানিয়েছেন। এর মাঝে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। এমনিভাবে নবীজী অন্যান্য যে সকল হেদায়েত দান করেছেন, যে সমস্ত হুকুম-আহকাম ও বিধানাবলী বর্ণনা করেছেন, সেগুলো মূলত আল্লাহরই আহকাম ও হেদায়েত। আল্লাহ তাআলা ওহীর মাধ্যমে নবীজীর অন্তরে সেগুলো ঢেলে দিয়েছেন। এই আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কাউকে আল্লাহর নবী ও রাসুল হিসেবে মেনে নেওয়ার অর্থ তাঁর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। কারণ আল্লাহ তাআলা যে বিধানাবলীর উপর মানব ম-লীকে চালাতে চান, সে বিধানগুলিই নবীর মাধ্যমে বান্দাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ আমি কেবল এজন্য নবী প্রেরণ করেছি যে, আমার হুকুমে নবীর আনুগত্য করা হবে, তার আদেশ-নিষেধগুলো মান্য করা হবে। সূরা ৪, আয়াত ৬৪
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ