মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অভ্যুত্থানের পর শুরু বিক্ষোভ দমনে মিয়ানমরের সামরিক সরকার বারবার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ায় লোকসান ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে নরওয়ের বহুজাতিক টেলিকম কোম্পানি টেলিনর মিয়ানমারে নিজেদের ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছে। রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লেবাননের বিনিয়োগ সংস্থা এমআই গ্রুপের কাছে ১০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে মিয়ানমারে নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিক্রি করেছে মিয়ানমারে সর্ববৃহৎ বিদেশি বিনিয়োগকারী টেলিনর। -রয়টার্স
ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার জন্য দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতার ওপর দায় চাপিয়েছে টেলিনর। সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষের চাপের কারণে ভবিষ্যত নিয়ে সংকটের শঙ্কায় কোম্পানিটি মিয়ানমার ছাড়ল। দশকের পর দশক ধরে সামরিক স্বৈরশাসকের অধীন থেকে মুক্ত হওয়ার পর অল্প হলেও যেসব পশ্চিমা কোম্পানি মিয়ানমারে বিনিয়োগ করে তার একটি টেলিনর। অবশ্য গত বছর এই কোম্পানির মোট আয়ের ৭ শতাংশই এসেছিল মিয়ানমার থেকে। টেলিনরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিগভে ব্রেকেক বলেন, সেখানে আমাদের ব্যবসা বিক্রি জরুরি হওয়ার তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা, দ্বিতীয়ত নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের শর্ত, তৃতীয়ত কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী রয়টার্সকে আরও বলেন, গত মে মাসে আমরা যখন লোকসানের বিষয়টি জানিয়েছিলাম, তখনও আমাদের মনে হয়েছিল আমরা দেশটিতে ব্যবসা করতে পারবো। যদিও তা ছিল চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ায় গত মে মাসে ৭৩৮ মিলিয়ন ডলার লোকসান করে টেলিনর। জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত ৮৮০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অন্তত ৫ হাজার ২০০ জন গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া সংঘাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।