পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে জরুরি ত্রাণ বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ক্রমাগত বর্ষণের ফলে এবং ভারতের উজানে সকল বাঁধের গেট খুলে দেয়ার কারণে প্রায় ১০টি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। যা চরম উদ্বেগের কারণ। অপরিকল্পিত এবং দুর্বল নির্মাণ কাজের কারণে সড়ক ও বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পীর সাহেব বলেন, বন্যায় ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সব বন্যাদুর্গত অঞ্চলে অবিলম্বে সরকারি ত্রাণ বিতরণ এবং বীজতলা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় নতুন বীজ সরবরাহের দাবি জানান তিনি। উপদ্রæত এলাকায় সরকারের পাশাপাশি দলের নেতাকর্মী এবং সমাজের বিত্তবানদের যথাসম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহŸান জানান পীর সাহেব চরমোনাই।
লকডাউনে কর্মহীন মানুষ ঋণগ্রস্ত :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে গত ১৮ মাসে বার বার লকডাউনের কারণে দেশের মানুষ কর্মহীন, ঋণগ্রস্ত হয়ে কঠিন সঙ্কটে পড়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ উপার্জনহীন হয়ে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করলে, সরকারের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা রাস্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটসহ বেতন ভাতা ঠিকই গ্রহণ করছেন। লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষের কাঁধে ঋণের বোঝা আজ চোখের ঘুম হারাম করে বিভিন্ন রকম মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল আহাদ, নুরুজ্জামান সরকারসহ নগর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আর লকডাউন দিয়ে মানুষকে সঙ্কটে না ফেলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত থেকে স্থায়ীভাবে ফিরে এসে দুর্নীতি-দুশাসন মুক্ত হয়ে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে মানুষকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।