মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ২০ বছর পর মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের বাগরাম এয়ারফিল্ডের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে রাতের অন্ধকারে আফগান কমান্ডারকে অবহিত না করে চলে গেছে। তাদের প্রস্থানের দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর ঘটনাটি আবিষ্কৃত হয়। আফগান বাহিনী বলেছে, এক রাতের মধ্যেই তারা এ এলাকার বহির্ভাগে টহলে থাকা আফগান সৈন্যদের কিছু না বলে যেভাবে চলে গেছে, তাতে তারা গত ২০ বছরের সমস্ত সুনাম হারিয়েছে।
এরপর সোমবার আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় ৯/১১-এর হামলার অপরাধী আল-কায়দা এবং তালেবানদের নির্মূল করতে আমেরিকার যুদ্ধের মূল ঘাঁটিটি আফগান সেনাবাহিনী গণমাধ্যমের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়। বাগরামের নতুন কমান্ডার জেনারেল মীর আসাদুল্লাহ কোহিস্তানি বলেন, ‘আমরা কিছু গুজব শুনলাম যে, আমেরিকানরা বাগরাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং অবশেষে সকাল সাতটা অবধি আমরা বুঝতে পারলাম যে, ইতোমধ্যে তারা বাগরাম ছেড়ে চলে গেছে।’
তালিবান অধ্যুষিত হেলমাদ ও কান্দাহার প্রদেশে ১০ বছর দায়িত্ব পালনকারী সৈনিক আব্দুর রঊফ জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার মার্কিন বাহিনীর নীরব প্রস্থানের ২০ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং এলাকাটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।’ আফগান সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সেনাবাহিনী রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে বিমান ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারার আগেই লুটেরাদের একটি দল সেখানে হামলা করে এবং ব্যারাকের পর ব্যারাক তছনছ করে দেয়।
মার্কিন বাহিনীর ফেলে যাওয়া সরঞ্জামগুলোর মধ্যে কয়েকশো সাঁজোয়াসহ হাজার হাজার বেসামরিক যান রয়েছে। কোহিস্তানি বলেন যে, মার্কিন বাহিনী তাদের জন্য ছোট ছোট হালকা অস্ত্র এবং সেগুলোর জন্য কিছু গোলাবারুদ রেখে গেছে। তবে বিদায়ী সেনারা তাদের সাথে ভারী অস্ত্র নিয়ে গিয়েছে। আফগান সামরিক বাহিনীর জন্য তারা অস্ত্রগুলো রেখে যায়নি এবং সেগুলোর গোলাবারুদও তারা চলে যাওয়ার আগেই ধংস করে দিয়েছে।
এদিকে, উত্তর আফগানিস্তানে জেলার পর জেলা দখল করে নিচ্ছে তালিবানরা। মাত্র দু’দিনে কয়েকশ’ আফগান সেনা বিদ্রোহীদের সাথে লড়াইয়ের পরিবর্তে সীমান্ত পেরিয়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে, বেশিরভাগ ন্যাটো সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। তবে, আফগানিস্তানে তুরস্কের নির্মানাধীন কাবুল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রক্ষার চুক্তি শেষ না হওয়া অবধি অবশিষ্ট মার্কিন সেনারা সেখানে অবস্থান করবে। সূত্র : এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।