মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুখে মাস্ক আর লাগবে না, সামাজিক দূরত্বও আর মেনে চলতে হবে না- এই মাসেই ইংল্যান্ডে এমন মুক্ত জীবনযাপনের আশা দেখালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আগামী ১৯ জুলাই ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯ মহামারীর সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন বলে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিলেও চ‚ড়ান্ত ঘোষণা আগামী ১২ জুলাই সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনসন। টিকার উপর ভর করে জনসন মহামারী ঠেকানোর সব বাধা সরিয়ে ফেলার এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও করোনাভাইরাসের ডেল্টা সংক্রমণের দাপটের মধ্যে তা আগেভাগে হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে সতর্ক করেছেন। এমনকি জনসনের সঙ্গে থাকা ইংল্যান্ডের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইট বলেছেন, তিনি মাস্ক পরা ছাড়বেন না। ২০১৯ সালের শেষে নতুন করোনাভাইরাস চীন থেকে ছড়িয়ে বিশ্বে মহামারী বাঁধিয়ে দেওয়ার পর গত বছর এই সময়ে ইংল্যান্ডে ছিল চরম বিপর্যয়কর অবস্থা। মহামারী নিয়ন্ত্রণে অন্য সব দেশের মতো ইংল্যান্ডকেও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অতিথি নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিধি-নিষেধ আনতে হয়। ফলে মানুষের জীবনযাপন, চলাচল গন্ডি মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। বছর গড়িয়ে যুক্তরাজ্যসহ ইংল্যান্ডে পরিস্থিতির বেশ উন্নতিই হয়েছে বলা চলে; যদিও ভারতে উদ্ভ‚ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন সংক্রমণ আবার বাড়িয়ে তুলেছে। সোমবারও যুক্তরাজ্যজুড়ে ২৭ হাজার ৩৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, নয় জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মানুষকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার রোডম্যাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। তিনি যে রূপরেখা দিয়েছেন, তাতে ১৯ জুলাইয়ে বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়ার পর জনসমাগমস্থলে কেউ ভদ্রতাবশত মাস্ক পরতে পারবেন, তবে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সামাজিক দূরত্ব মানার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হলে এক ঘরে ছয়জনের বেশি মানুষ আবার থাকতে পারবে। মুক্ত জীবনের আশার সুর শোনানোর পাশাপাশি সতর্কবার্তাও দিচ্ছেন বরিস জনসন। এই মাসের শেষ দিকে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারে পৌঁছতে পারে, আর তাতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। তবে ব্যাপক হারে টিকাদানের সাফল্যের দিকটি মনে করিয়ে তিনি বলেছেন, “এখন যদি আমরা করতে না পারি, তাহলে কখন করব?” রয়টার্স লিখেছে, টিকা গ্রহণের পর থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। সোমবার পর্যন্ত ৮৬ শতাংশ প্রথম ডোজ ও ৬৪ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে। জনসন বলেছেন, ৪০ বছরের নিচের ব্যক্তিদের ১২ সপ্তাহ নয়, ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের মত একই নীতি অনুসরণ করা হবে। তার মতে, গ্রীষ্মের এই সময়ে যখন ভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তখন যদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া না যায়, সামনে শীত থাকায় তাহলে আবার আগামী বছর অবধিও ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হবে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।