মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে তালেবানদের অগ্রাভিযান চলছেই। শনি ও রোববার লাগাতার সংঘর্ষ চলার পরে সোমবার প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি আফগান সেনা। আমেরিকা ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়ার পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চল ক্রমশ তালেবানের দখলে চলে যাচ্ছে। আফগান সেনারাও ক্রমে পিছু হটছেন। আফগান সেনাবাহিনীর অবশ্য দাবি, আশঙ্কা অমূলক। শীঘ্রই পাল্টা আক্রমণ করবে তারা।
উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের বাদখশান প্রদেশের এক ব্যাটেলিয়নের সেনাকর্তা আব্দুল বশির জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে তাজিকিস্তান-সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় আফগান সেনাবাহিনীর উপরে সমানে হামলা চালাচ্ছিল তালেবান। সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও ক্রমশই পিছু হটতে হচ্ছিল সেনাবাহিনীকে। অন্যান্য সেনাঘাঁটি থেকে আরও বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল পর্যন্ত অতিরিক্ত বাহিনী এসে পৌঁছয়নি। তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণও করতে চাননি আফগান সেনারা। বেগতিক দেখে, প্রাণে বাঁচতে, তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাজিকিস্তানে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তান থেকে ১ হাজার ৩৭ জন সেনা আজ আমাদের দেশে প্রবেশ করেছেন। আমরা কখনওই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাই না। আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা তাদের আপাতত এখানে থাকার অনুমতি দিয়েছি।’ আফগান সেনার তাজিকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া অবশ্য কোনও নতুন ঘটনা নয়। সে দেশের তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, আফগান-তাজিক সীমান্তের কাছাকাছি, আমু দরিয়া এলাকার একটা বড় অংশের প্রধান শহর এবং প্রধান সড়কগুলি তালেবানের দখলে চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবারের মধ্যে কান্দাহর, বাদখশান এবং কুন্দুজ় প্রদেশের অন্তত ১৩টি জেলা পুরোপুরি তালেবানের আওতায় চলে গিয়েছে।
আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর অবশ্য দাবি, খুব শীঘ্রই দেশের উত্তর প্রান্তে তালেবান বাহিনীর উপরে হামলা চালাবে তারা। আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লা মোহিব জানিয়েছেন, বড়সড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে তিনি এ কথা মুখে বললেও পরিস্থিতি যে এতটা সহজ নয়, তা মানছেন দেশ-বিদেশের সামরিক বিশেষজ্ঞেরা। যেমন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্তা নুরির কথায়, ‘আফগান সেনার মনোবল একদম তলানিতে ঠেকেছে। আমেরিকান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করেছে। লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানসিক শক্তিটুকুও যেন আর সেনাদের নেই।’ সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।