Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উজিরপুরের ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহার আদালতে, মামলা দায়ের

পুলিশ হেফাজতে নারী আসামীকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২১, ৮:৪৫ পিএম

রিমান্ডে নিয়ে হত্যা মামলার নারী আসামি মিনতি বিশ্বাস ওরফে মিতু অধিকারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান এবং তদন্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে সোমবার আদালতের নির্দেশনা অনুসারে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে প্রত্যাহার হওয়া দুই কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দায়িত্বে অবহেলায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে নির্যাতিতা নারীর বর্ণনা অনুযায়ী প্রত্যাহারকৃত দুই কর্মকর্তাসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। তবে অপর ৩ জনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় তদন্ত কমিটির দেয়া রিপোর্ট অনুসারে অপর ৩ জনকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলাম চিকিৎসাকালীন সময় আসামি মিতুর শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বরে জানা গেছে।

গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভাই বরুন চক্রবর্তী মিতুকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মিতুর সাথে তার ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো বলে দাবি করে বরুন। মামলার আসামি হিসেবে ওইদিন মিতুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। থানা পুলিশের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নারী আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ জুলাই ওই নারীকে আদালতে হাজির করলে তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে দেখে এর কারণ জানতে চান আদালত। ওই নারী আদালতের কাছে তাকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। আদালত একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে তার দেহ পরীক্ষা করে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পান।

শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালককে মিতুর শারীরিক পরীক্ষা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলে। সে অনুযায়ী মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে বরিশাল রেঞ্জে ডিআইজি রেঞ্জ এসপি’র নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গন করে। তদন্ত প্রতিবেদন ও আদালতে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে সোমবার উজিরপুর থানার ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত’কে প্রত্যাহার করা হল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরিশাল

২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ