বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহারী ঢলে লালমনিরহাটর তিস্তার পানি বিপদসীমার ছুঁইছুঁই করছে। ধীরে ধীরে তিস্তা ভয়ংকর রুপ ধারন করছে। ধরলার পানিও প্রতিদিনই বাড়ছে । ফলে তিস্তা-ধরলার ৬৩ চর প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এই ভাঙনে নদীর পাড়ের মানুষ আতঙ্কিত রয়েছেন।
রবিবার (৪ জুলাই) বিকেলে দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, রবিবার সকাল ৯টা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, দুপুর ২টায় ৫২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টায় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার স্পর্শ করে। ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তার পানি।
জানা যায়, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার তিস্তা-ধরলা বেষ্টিত ৬৩ চর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া ওই এলাকা গুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমার গ্রামে একটি সড়ক পানিতে ডুবে গিয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউপির তাঁতিপাড়া, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার নিউ গড্ডিমারী গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, এমনিতে লকডাউন তাতে কয়েক দিন ঘরবাড়িতে পানি উঠছে বাজারত যাইতে পাছিনা অনেক কষ্টে পরিবার নিয়া আছি। একই এলাকার মোঃ একাব্বর আলী বলেন, তিস্তা ভাঙন আসতে আসতে বাড়ি পাশে আছি গেইছে এবার যে কি হয় হামার কপালে ।
সদরের রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে । পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন । গত ২৪ ঘন্টায় তার ইউনিয়নের ১৩টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে । ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে কয়েক’শ ঘরবাড়ি ।
অপরদিকে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, বলেন ধরলা নদীর পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে,বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আছে, আমরা সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখছি। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,‘উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।