বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সদরের উত্তর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে, পরশুরামের সাতকুচিয়া ও জয়পুর এলাকায় মুহুরী নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।প্লাবিত এলাকায় বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছে।
এতে দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রাম ও সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রাম, পরশুরামের সাতকুচিয়া, জয়পুরসহ ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও ফুলগাজী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবন তরান্বিত হচ্ছে।
দোকান-পাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্লাবনের পানিতে ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠ। ভেসে গেছে পুকরের মাছ।
স্থানীয়রা জানান, ত্রুটিপূর্ণ বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রতি বছরই সামান্য বৃষ্টি হলে নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।
আবুল হাসান নামের ফুলগাজী বাজারের এক ব্যবসায়ি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাজারে পানি উঠতে শুরু করে। মুহূর্তেই বাজারের দোকানপাটে পানি ঢুকে জিনিসপত্র ডুবে গেছে। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে বাড়ি ঘরে ছিলেন। খবর পেয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকান খুলে মালামাল সরাতে পারলেও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে বিকাল থেকে আস্তে আস্তে পানি নামতে শুরু করেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত জানান, তার উপজেলায় বেড়িবাঁধের ১টি স্থানে ভাঙ্গনে ২-৪টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টিতে বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়
বেড়িবাঁধের ৩স্থানে ভাঙ্গনের শুরু হয়। এতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়। তবে এখন (সন্ধ্যা ৬টা) পানি কমতে শুরু করেছে। পানির স্রোত স্বাভাবিক হলে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামত করার অনুরোধ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।