পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মগবাজারে ওয়্যারলেসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী, ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কোরআনের হাফেজ ও মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান। বিস্ফোরণের ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয় তাকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুস্তাফিজ (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
তার দীর্ঘদিনের সহকারী মাহমুদুল হক জালীস জানান, মুস্তাফিজ অত্যন্ত নরম, ভদ্র ও বিনয়ী ছিলেন। সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন। সব কাজে তার পারদর্শিতা ছিল নজরকাড়া। তার এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের।
কোরআন সুন্নাহ মাল্টিমিডিয়ার পরিচালক মাওলানা লুৎফর রহমান বলেন, আমার অফিসের দীর্ঘদিনের কর্মী ছিলেন মুস্তাফিজ। তিনি খুবই কর্মঠ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মী ছিলেন। যে কোনো কাজে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতেন। তার এমন মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা শোকাহত।
পরিবারের বড় ছেলে মুস্তাফিজ। ঢাকাতেই থাকতেন। কাজের সুবাদেই ঘটনার দিন মগবাজারে অবস্থান করছিলেন মুস্তাফিজ। এমনটাই জানিয়েছে তার পরিবার।একজন সংস্কৃতিরকর্মী হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রেডিও ধ্বনির ইসলামিক অনুষ্ঠান ‘আহকামুল জুমা’-এর উপস্থাপক ছিলেন তিনি । অনুষ্ঠানটি প্রতি শুক্রবার সরসারি সম্প্রচার হতো। বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপনার কোর্সও করাতেন। তিনি টেলিভিশনের রমজান মাসব্যাপী জনপ্রিয় অনুষ্ঠান আলোকিত কোরআন ও সময়ের সেরা হাফেজ প্রোগ্রামগুলোর সমন্বয়কারী ছিলেন।
ময়মনসিংহ গফরগাঁওয়ের সন্তান মুস্তাফিজুর রহমান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীও ছিলেন। কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি জেনারেল পড়াশোনার জন্য কবি নজরুল ইসলাম কলেজে পড়তেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।