পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তর্গত পদ্মা পাড়ের হাজারো পরিবার, ফসলি জমি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সড়ক-মহাসড়ক। এছাড়া হুমকিতে রয়েছে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে ভয়াবহ নদী ভাঙনের ক্ষত কাটতে না কাটতেই এবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। এ কারণে পদ্মা পাড়ের মানুষগুলো নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে লঞ্চঘাটের ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভিত্তিতে গত বুধবার হতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। কিন্তু ঘাটের উজানে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের কবলিত এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। এতে করে বিক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকার লোকজন।
সরেজমিনে আলাপকালে স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চল। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পদ্মা পাড়ের শতশত মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া, কাওয়াজানি, মধ্য কাওয়াজানি এলাকা এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাত্তার ফকির পাড়া, ছিদ্দিক কাজীর পাড়া, মজিদ শেখের পাড়া, ১নং ব্যাপারী পাড়া, সাহাজদ্দিন ব্যাপারী পাড়া, লালু মন্ডল পাড়া ও নতুন পাড়া।
এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটগুলো। ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১, ২, ৩ ও ৭নং ফেরিঘাট এলাকায় অনেক জিও ব্যাগ ধসে গেছে। জরুরি ব্যবস্থা নেয়া না হলে তীব্র স্রোতে ঘাটগুলোতে বড় ধরনের ধস সৃষ্টি হয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু জিও ব্যাগ সঙ্কটের কারণে বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে জরুরি সংরক্ষণের কাজ করতে পারছে না।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার বাবু মোল্লা জানান, তারা কয়েকশ’ পরিবার ১ ও ২নং ফেরিঘাট এলাকায় বসবাস করেন। ঘাট দুটির বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ ধসে গেছে। আরেকটু পানি ও স্রোত বাড়লে এখানকার ঘাট দুটিসহ গোটা এলাকা ভেঙে যেতে পারে। বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষকে বলেও কোন কাজ হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। অথচ দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামের ভাঙনরোধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ভাঙনের কারণে গোয়ালন্দের মানচিত্র হতে ইউনিয়ন দু’টি হারিয়ে যেতে বসেছে। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য আমরা পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির চালিয়েছি। সরকারের একাধিক মন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে এ এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু অদ্যাবধি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বিআইডবিøউটিএ আরিচা অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, ফেরিঘাটগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ আমরা চিহ্নিত করেছি। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আ. আহাদ বলেন, আমরা জরুরিভিত্তিতে লঞ্চঘাট রক্ষায় কাজ শুরু করেছি। এর বাইরের এলাকায় আমাদের কাজ করার আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই। তবে জরুরি প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জরুরিভিত্তিতে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।