পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ন্যাটো বাহিনীর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে বর্তমানে যেসব তুর্কি সেনা মোতায়েন রয়েছে তার বাইরে দেশটিতে নতুন করে আর কোনও অতিরিক্ত সেনা পাঠাবে না তুরস্ক। বুধবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ। হুলুসি আকার বলেন, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এজন্য দেশটিতে বাড়তি কোনও সেনা মোতায়েন করা হবে না। তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে তুর্কি সেনারা ন্যাটোর অধীনে আফগান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে। ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা চলে যাওয়ার পর কাবুলের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর ও বিদেশি দ‚তাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া কাবুলে তাদের দ‚তাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রেরও সায় আছে বলে জানা গেছে। তবে এক বিবৃতিতে তালেবান তুরস্কের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার ‘কোনও আশা’ রাখা উচিত নয়। দ‚তাবাস ও বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আফগানদেরই দায়িত্ব। তালেবানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতি ইঞ্চি ভ‚খÐ, এর বিমানবন্দর, বিদেশি দ‚তাবাস এবং ক‚টনৈতিক অফিসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আফগানদের দায়িত্ব। ফলে আমাদের দেশে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার আশা কারও পোষণ করা উচিত নয়। যদি কেউ এ জাতীয় ভুল করে থাকে তবে আফগান জনগণ এবং ইসলামি আমিরাত তাদের দখলদার হিসেবে বিবেচনা করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। এর মধ্যেই বুধবার আফগানিস্তানে বিদ্যমান সামরিক উপস্থিতির বাইরে নতুন করে সেনা না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।