মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে আমেরিকানদের দীর্ঘায়িত ও ব্যর্থ রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ার চেয়ে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানের জোট বা কোয়ার্টেট আরো কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। চীনা বিশ্লেষকরা ইতোমধ্যে মত দিয়েছেন যে, আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরো কার্যকর সুরক্ষা বলয় তৈরি করবে।
জোটটি তালেবানদের দেশ পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে। তবে, যেখানে প্রয়োজন সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণে কাজও করতে পারে। তারা তালেবানদের আচরণকে পুনর্র্নির্মাণ এবং প্রভাবিত করতে পারে যাতে চরমপন্থী গোষ্ঠীটি চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাতে খাপ খেতে পারে।
দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ পরিচালনা ব্যবস্থায় অনাসক্তি চীনের বিশ্ব দর্শনের একটি বৈশিষ্ট্য। এর অনুসারে, উদারপন্থী ধর্মান্তকরণের (বা অন্য কোনো ধরনের) চেয়ে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাই প্রাথমিকভাবে কার্যকরী, যা করতে আমেরিকা ব্যর্থ হয়েছে। আফগানিস্তানের সরকারে যেই বসবে, তার সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের এ দর্শন এই নিরেট ভিত্তি হতে পারে।
আফগান সমস্যায় চীনের একক বা এই কোয়ার্টেটের নেতৃত্বাধীন সামরিক সমাধান ততটাই অকার্যকর প্রমাণিত হবে, যতোটা আমেরিকা ব্যর্থ হয়েছে। চীন একটি অভিনব পদক্ষেপ হিসেবে সাংহাই সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (এসসিও)কে আফগানিস্তানে আরো সক্রিয় নিরাপত্তায় ভূমিকা নিতে সহায়তা করতে পারে। এসসিও’র ভবিষ্যতের অনুরূপ কার্যক্রমগুলোর জন্য বিষয়টি একটি মডেল হিসাবে কাজ করবে। আরো সূক্ষ্ম কৌশল হবে, চীনের এবং কোয়ার্টেট শক্তিগুলোর অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা স্বার্থের ভিত্তিতে তালেবানদের সহযোগিতা করতে সম্মত করার পন্থা বের করা। আফগানিস্তানকে তার নিজস্ব ধারাতে ছেড়ে রাখার সম্ভাবনা চীনের খুব কম। যদিও ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে বেইজিংয়ের অল্প বিনিয়োগ ছিল (৪শ’ মিলিয়ন ডলার), তবে, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক হাতছানিকে এড়িয়ে থাকা যায় না। দেশটির খনিজ সম্পদের মূল্য ১ থেকে ২ ট্রিলিয়ন ডলার।
মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর চীন মধ্য এশিয়া এবং শিনজিয়াংয়ে সম্ভাব্য নিরাপত্তা সমস্যার মুখোমুখি হবে। তবে চীনের কাছে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা এবং আফগানিস্তান সমস্যা সমাধানের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা স্থাপনের ব্যবস্থাও রয়েছে। চীন রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং সমস্যাটি মোকাবেলার জন্য তারা একটি জোট তৈরি করতে পারে।
দেশটি তালেবানদের কাছ থেকে আরো মৌলিক সহযোগিতা চাইতে পারে। তবে তা কেবল অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার অবকাঠামোতে এ কোয়ার্টেটকে এবং বিশেষত চীনকে উপকৃত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। পাকিস্তান এ অঞ্চলে আরো একটি আগ্রহী শক্তি ভারতের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করবে। তাই চীন এবং কোয়ার্টেট নিশ্চিতভাবে দিল্লিকে বাদ দেবে।
অবশেষে, এবং পশ্চিমাদের বিস্মিত করে দিয়ে কৌশলটি কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। নিদেনপক্ষে, এটি আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের ভূমিকা হ্রাস করবে এবং উদার রাষ্ট্রগুলোর পরিচালিত বিকল্প বিশ্ব ব্যবস্থার দর্শনে আরো একটি রাষ্ট্রকে যুক্ত করবে। সূত্র : ইউরেশিয়া রিভিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।