Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটে কিশোরী গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালকের ব্যাংকার স্ত্রীর বিরুদ্ধে

জিজ্ঞাসাবাদে থানায় নেয়া হয়েছে ব্যাংকার ফারহানাকে

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ৭:৩৭ পিএম

কিশোরী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরানে হোসেনের ব্যাংকার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাসার বাথরুমে তালাবদ্ধ করে শরীরে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে বর্বরভাবে নির্যাতন করেছেন ওই গৃহকর্মীকে তিনি। গতকাল (বুধবার) সকাল থেকে নগরীর উপশহরের ই-বøকের ২১ নম্বর (ফিরোজা মঞ্জিল) বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসায় দীর্ঘদিন থেকে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের পরিচালক এমরান হোসেন স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন। গতকাল সকালে ্ওই বাাসর ভেতরে এক কিশোরীর কান্না ও সুর চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশিরা। কান্না ও সুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা খবর দেন এসএমপির শাহপরান (রহ.) পুলিশে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তালাবদ্ধ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে। এদিকে, নির্যাতনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রী ব্যাংকার ফারাহানা আলম চৌধুরীকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।


এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানা যায়, কিশোরী গৃহকর্মীকে বাথরুমে তালাবদ্ধ করে শরীরে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ প্ওায়া গেছে ফারহানা আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মারধরের পর গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে বাথরুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। নির্যাতনের সময় তার শরীরে মরিচের গুড়োও ছিটিয়ে দেয়া হয়। দুপুরে রুনা আক্তারকে উদ্ধারের পর বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারাহানা আলমকে শাহপরান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনার ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, সকালে জৈন্তাপুরে একটি অভিযানে যাই। গতকাল থেকে মেয়েটি বলছিল বাড়িতে যাবে। যার মাধ্যমে মেয়েটিকে আনা হয়েছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সে আজকে রাতে বা কাল সকালের মধ্যে আসার কথা। তবে এর ভেতরেই এমন ঘটনার কথা শুনে আমি বাসায় এসেছি।

এছাড়া ফারহানা আলম চৌধুরী বলেন, গতকাল রাত থেকে সে ভয় পাচ্ছে আর বলছে কেউ নাকি তাকে স্পর্শ করছে। সকালেও একই কথা বলে বাথরুমে ঢুকে কান্না শুরু করে। ওই সময় আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলে মরিচ দেওয়ার কথা বলে। মরিচ দিলে নাকি ওই অদৃশ্য বিষয়টি চলে যাবে। আমি দেইনি। পরে সে নিজেই নিজের শরীরে মরিচ দেয়।

এসএমপির শাহপরাণ রহ. থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে আমরা উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি গৃহকর্তীকে । তবে ঘটনা এখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্যাতন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ