মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদিনের ব্যবধানে দুইটি বিশাল তেলক্ষেত্র পাওয়ার কথা জানাল চীন। চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (সিএনপিসি) দেশের বৃহত্তম শেল তেল রিজার্ভ খুঁজে পেয়েছে। এর আয়তন একশো কোটি বিলিয়ন টন। গানসু প্রদেশের অর্ডোসে নতুন এই তেল ক্ষেত্র পাওয়া গিয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে সিএনপিসি।
এর আগে গত শুক্রবার উইঘুর মুসলিম অধ্যূষিত চীনের স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশের তারিম অববাহিকায় ৯০০ মিলিয়ন টনের নতুন একটি তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তারা। জিনজিয়াংয়ের ফুমান এলাকার মানসেন-২ নামে অপর এক তেল-গ্যাসক্ষেত্রের পাশে তারিম নদীর দক্ষিণে এবং তকলিমাকান মরুভূমির কেন্দ্রে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন এই তেল ও গ্যাসক্ষেত্রটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিএনপিসি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তেল-গ্যাস রিজার্ভ থেকে বছরে ৪০ লাখ টন তেল এবং ১ হাজার ৪০০ কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। সিএনপিসির আওতাধীন তারিম ওয়েলফিল্ডি কোম্পানির ব্যবস্থাপক ইয়াং শুয়েওয়েন জানান, ‘আমরা সফলভাবে নতুন একটি তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছি, যেখানে একশ কোটি টন তেল রয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে তারিম অববাহিকায় এটি সর্ববৃহৎ অনুসন্ধান।’
সিএনপিসি হলো চীনের সর্ববৃহৎ তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান। তারা ২০১৯ সাল থেকে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান এবং উৎপাদন শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন দুই ক্ষেত্র আবিষ্কারের ফলে আমদানির উপর থেকে চীনের নির্ভরতা অনেকাংশে কমে আসবে। বর্তমানে চীন জাতীয় চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশই অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। এর আগে খবরে বলা হয়েছিল যে, চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়া থেকে চীনে তেল সরবরাহ ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ওই মাসে সউদী আরব থেকে ৬৪ লাখ ৭০ হাজার টন খনিজ কাঁচামাল আমদানি করেছিল চীন। তার আগের মাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টন। অর্থাৎ, একমাসে আমদানির পরিমাণ কমেছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সময়ে রাশিয়া থেকে ৬৩ লাখ ও ইরাক থেকে ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টন খনিজ কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছিল। তার আগের মাসে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ও ৩৬ লাখ ২০ হাজার টন।
অর্তাৎ, তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ইরাকের কাছ থেকে চীনের আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও (২২ দশমিক ৯ শতাংশ) এর বিপরীতে শীর্ষ দুই অবস্থানে থাকা দেশগুলো থেকে আমদানির পরিমাণ কমেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে চীন বার্ষিক দিক দিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ক্রয়ের পরমিাণ ২ দশমিক ১৪ শতাংশ কমিয়েছে। ২০২০ সালে চীন রাশিয়া থেকে ২ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার মূল্যের ৮ কোটি ৩৪ লাখ টনেরও বেশি কাঁচামাল আমদানি করেছিল। সূত্র: ব্রেক নিউজ, গ্লোবাল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।