গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। আর এক কারণে দূরপাল্লার কোনো বাস ঢাকা ডুকতে পারছে না। যার কারণে মহাসড়কগুলোতে লেগেছে দীর্ঘ যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে ঢাকাগামী লেনে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
করোনা মহামারি থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন রাখতে আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করায় রাজধানীতে গণপরিবহন প্রবেশ করতে না দেওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর রাখতে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের দাউদকান্দি বলদাখাল এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে।
গণপরিবহন থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহনই ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যানবাহন না পেয়ে অফিসগামী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। আর যানজটটি দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে পুটিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটারে পৌঁছেছে।
দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেককে আবার হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ওসি জহুরুল হক জানান, রাজধানীর পাশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করায় আমরা মহসড়কের দাউদকান্দি বলদাখাল এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছি। যাতে করে গণপরিবহন মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় ঢুকতে না পারে। এ ছাড়া ভোরে টোলপ্লাজা এলাকায় একটি বাস দুর্ঘটনার কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় আজ সকাল থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। কার্যত ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করতে এসব জেলা অনেকটা ‘ব্লকড’ করে দেওয়া হয়েছে। এই লকডাউন চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
বিধিনিষেধের আওতায় থাকছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলা।
এসব জেলার ওপর দিয়ে বাসে অন্যান্য জেলাগুলোতে যাতায়াত করা যাবে না। একই সঙ্গে এসব জেলার ওপর দিয়ে চলাচল করলেও এসব জেলার কোনো স্টেশনে ট্রেন থামবে না।
নৌপথে আরিচা ও মাওয়া ঘাটের লঞ্চ এবং স্পিডবোট বন্ধ থাকবে, ফেরিতে শুধু মালবাহী গাড়ি পারাপার হতে পারবে। ঢাকা বা ঢাকার বাইরে থেকে ছেড়ে আসা কোনো নৌযান এ সাত জেলার মধ্যে কোনো ঘাটে দাঁড়াতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।