পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর অসহনীয় যনজট কমাতে প্রয়োজন বৃত্তাকার সড়ক। পদ্মা সেতু চালু হলে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এসব যানবহানকে ঢাকার ভেতর দিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠতে হবে। ফলে পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকার যানজট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এম আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে ঢাকা ঘিরে বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণ একটি ভাল সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ২১ জেলায় যাবে যানবাহন। তাছাড়া সেতু কেন্দ্র করে চলাচলও বাড়বে। সেতুর কারণে জেলাগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাড়বে। জেলায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এই সেতু দিয়েই বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে যেসব যানবাহন ঢাকায় ঢুকবে সেক্ষেত্রেও যানজট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব যানবাহন ঢাকায় ঢুকবে সেগুলো এক্সপ্রেসওয়ে পাড় হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে উঠবে। এসব যানবাহন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের এক্সিটগুলোতে নামবে। সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান ও চানখারপুলে নামবে এসব যানবাহন। এসব এলাকায় এমনিতেই যানজট থাকে। তার ওপর সেতু চালু হলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বাড়বে। ফলে এখনই বিকল্প ভাবা দরকার। এখন পর্যন্ত এমন কোনো রাস্তা করা হয়নি যা দিয়ে ঢাকার ভেতরে না ঢুকেও পদ্মা সেতুতে উঠতে পারবে যানবাহনগুলো। এক্ষেত্রে যদি ঢাকা ঘিরে বৃত্তাকার একটি সড়কপথ তৈর করা যেত তাহলে ঢাকার ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ত না। এক্ষেত্রে একটি পরিকল্পনা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। ঢাকার দোলাইরপাড় থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে গেলেও ঢাকার অসহনীয় যানজট অতিক্রম করেই যেতে হবে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণ করলে এই ভয়াবহ যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা থাকবে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের গাড়ি রাজধানীর ভেতর দিয়ে বাবুবাজার সেতু হয়ে মাওয়া যেতে হয়। কিন্তু সার্কুলার রোড থাকলে আবদুল্লাহপুর হয়ে বৃত্তাকার সড়ক দিয়ে মাওয়া চলে যেতে পারত গাড়িগুলো।
জানা যায়, ঢাকা শহর ঘিরে ৮৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বৃত্তাকার সড়ক পথ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। এর ফলে ঢাকার ভেতরে না ঢুকেও গাড়িগুলো বের হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেই প্রকল্প এখনো বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হয়নি। এই বৃত্তাকার সড়ক পথ অনেক আগেই করার কথা ছিল। ২০০৪ সালে যানজট নিরসন মহাপরিকল্পনায় ছিল এই প্রস্তাব। ২০১৪ সালে সংশোধিত এসটিপিতেও ঢাকা ঘিরে তিনটি বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের কথা আছে। কিন্তু সবকিছু এখনো পরিকল্পনাতেই রয়ে গেছে।
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এলাকার ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা এখনই চূড়ান্ত করে ফেলা দরকার। না হলে এই সেতুকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে। চাপ সামলাতে প্রয়োজনীয় সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিবহণ পরিকল্পনার উপর জোর দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।