পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃষ্টি হলেই রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ সড়ক চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিমানবন্দর রোডে তো উন্নয়নের মেগা প্রকল্পের জন্য প্রতিদিন ভয়াবহ যানজট হচ্ছে। গতকালও ঢাকা টু ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও গর্তে বৃষ্টির পানি জমে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এ সড়কে চলাচলকারী যানের চালক ও যাত্রীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে উভয়মুখী লেনে যানজট দেখা দিয়েছে। তবে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের একাধিক দল মহাসড়কে থেকে চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা টু ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর সেনাকল্যাণ ভবন, মিলগেট, স্টেশন রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই যানজট উত্তরা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। অনেকেই গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে মেগা প্রকল্পের বিরুদ্ধে নানান কথাবার্তা বলেন। ভুক্তোভোগী যাত্রীরা বলছেন, রাস্তায় হেঁটে বা অন্যকোনও মাধ্যমে যাওয়ারও উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই বসে থাকতে হচ্ছে।
টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ শামসুর রায়হান জানান, গত সোমবারের টানা বৃষ্টির কারণে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় পানিবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে ছিল। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই যানজটের কারণে অফিসে যেতে পারেননি। মেগা প্রকল্পের কারণে এ সড়কে চলাচলকরা মানুষকে মেগা যানজটে পড়তে হচ্ছে। পোহাতে হচ্ছে মেগা ভোগান্তি।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়াগামী আলম এশিয়া পরিবহনের যাত্রী শামসুল হক বলেন, বৃষ্টির কারণে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় খানাখন্দে পানি জমেছেন। এতে সকাল থেকেই তীব্র যানজট বাধে। সাধারণ মানুষ ও চাকরিজীবীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানবাহনগুলো দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে একই জায়গায়। বিরক্ত হয়ে অনেকেই হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের ছোটবড় খানাখন্দ ও গর্তে পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী চালক, যাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। গর্তে পানি জমে থাকায় কোনও গাড়িই সামনে এগোতে পারছে না। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে উভয়মুখী সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। সরকার মেগা প্রকল্পের নামে দেশবাসীকে বোকা বানিয়েছে। এক সময় একশ ভাগ বিদ্যুতের ম্যাজিকের কথা বলে মানুষকে ধোকা দিয়েছে। এখন মেগা প্রকল্পে ধোকা দিচ্ছে।
সড়কে দায়িত্বপালনরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মহাসড়কের খানাখন্দ ও গর্তে গাড়ি আটকে যাওয়ায় উভয়মুখী সড়কে সকাল থেকেই চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে বেশি খারাপ অবস্থা টঙ্গীর মিলগেট এলাকায়। এখানে গর্ত আর বিআরটির প্রকল্পের কাজের কারণে সড়ক ছোট হওয়ার কারণে এক লেনে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম গতি নিয়ে যানবাহন চলাচল করায় উভয় পাশেই দেখা দিয়েছে যানজট।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে টঙ্গীর মিলগেট থেকে উভয়মুখী সড়কে ছোটবড় গর্ত ও খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।