মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রচার চলছে সর্বত্রই। করোনার কারণে এর ব্যাপ্তিও বেড়েছে কয়েকগুণ। তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মতে ২০২৫ সালে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন যেখানে দাঁড়ানোর কথা ছিল করোনা সেটি ২০২০-২১-এ করে দিয়েছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যেও মহামারিকালে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। কিন্তু যে ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্প্রসারণ হওয়ার কথা সেখানেই পেছনের সারিতে পড়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেটের গতির সূচকে ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ তম। পেছনে কেবল সোমালিয়া, ভেনিজুয়েলা ও আফগানিস্তান। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ সিরিয়া, আফ্রিকার দেশ উগান্ডাতেও বাংলাদেশের চেয়ে ইন্টারনেটের গতি অনেক বেশি।
ইন্টারনেটের গতি নিয়ে তাই যারপরনাই হতাশ ও ক্ষুব্ধ ব্যবহারকারীরা। ঢাকার শনির আখড়ায় বসবাস করা খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি ফোরজি ব্যবহার করি। তবে ইন্টারনেটের গতি খুবই কম। এজন্য ইউটিউব চালাতে গেলে বাফারিং হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি আসে অনেক দেরিতে। করোনার কারণে গ্রামে গিয়ে ফ্রিল্যান্সারের কাজ করছেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামে কোনো ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেই। আমি বাধ্য হয়েই মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু গতি কম হওয়ার কারণে কাজ করতে খুবই অসুবিধা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোবাইল এবং ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা নির্ধারণে ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‹ওকলা›। তাদের সর্বশেষ মে মাসের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে একেবারে পেছনের সারিতে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে একমাত্র আফগানিস্তানের ইন্টারনেটের গতি-ই ধীর। মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বের ১৩৭ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ নম্বরে। বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থা কেবল যথাক্রমে সোমালিয়া, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তানের। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া (১০৪), আফ্রিকার উগান্ডার (১২২) মতো দেশও মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে!
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি ১২.৫৩ এমবিপিএস, আপলোড গতি ৭.৮৫ এমবিপিএস। আর ল্যাটেন্সি (মোবাইল ফোনের সংকেত ইন্টারনেট সার্ভারে পৌঁছানোর সময়) ৪৮ এমএস। অবশ্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৬ নম্বরে অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতি সম্পর্কে বলা হয়েছে- ডাউনলোড গতি ৩৮.১৩ এমবিপিএস, আপলোড গতি ৩৬.৬২ এমবিপিএস।আর ল্যাটেন্সি ১২ এমএস। ব্রডব্যান্ডের গতিতে প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। শুধু ইন্টারনেটের ধীরগতি নয়, এর মূল্যও বাংলাদেশে বেশি।
এ বিষয়ে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি না হলেও মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, যে পরিমাণ ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে তার চাইতে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গের পরিমাণ কম থাকায় ইন্টারনেটের গতি কম হচ্ছে। এজন্য সরকার এখন ব্রডব্যান্ডকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, একটি সরু রাস্তা দিয়ে বেশি গাড়ি চলতে গেলে সেখানে তো কিছুটা সমস্যা হবেই। তাই সরকার এখন ব্রডব্যান্ডকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য অপারেটরগুলোকে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিচ্ছে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।