পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবাইল ইন্টারনেটের কোনও প্যাকেজে ডাটা অব্যবহৃত থাকলে মেয়াদ শেষে তা বাতিল হবে না। ডাটার নতুন প্যাকেজ কিনলে এখন থেকে অব্যবহৃত ডাটা (ইন্টারনেট) পরবর্তী প্যাকেজে যোগ হয়ে যাবে। অপরদিকে ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ আনলিমিটেড করার আহŸান জানানো হয়েছে অপারেটরদের প্রতি। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক ১৭ মার্চ থেকে একটি আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু করবে। গতকাল মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে সংস্থাটির আয়োজিত গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরের ডাটা ও ডাটা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়।
কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নতুন প্যাকেজ নির্দেশিকার বিষয়ে জানান, প্রতিটি অপারেটর সব মিলিয়ে ৯৫টি প্যাকেজ চালু করতে পারবে। সব প্যাকেজের সময়সীমা হবে ৩, ৭, ১৫ ও ২০ দিন। তিনি জানান, আগে চার অপারেটর মিলে মোট প্যাকেজ সংখ্যা ছিল ৬২৯টি। আর বর্তমানে চার অপারেটর মিলে মোট প্যাকেজ সংখ্যা ৩১২টি।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কোনও গ্রাহক যদি তিন দিন মেয়াদে ৪ জিবি ডাটা প্যাক কেনেন এবং তৃতীয় দিনে যদি তার ২ বা ১ জিবি ডাটা অব্যবহৃত থাকে, তাহলে তৃতীয় দিনের মধ্যে গ্রাহক ৪ জিবি ৩০ দিন মেয়াদে একই প্যাক কিনলে, তার অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকের সঙ্গে যোগ হবে এবং তিন দিন প্যাকের অব্যবহৃত ডাটা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া একজন গ্রাহক একই পরিমাণ ডাটা ক্রয় করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে ডাটা প্যাক ক্রয় করলেও তা ক্যারি ফরওয়ার্ড করার সুযোগ পাবেন।
নাসিম পারভেজ বলেন, যে কোনও অপারেটর একজন গ্রাহককে দিনে সর্বোচ্চ ৪টি কমার্শিয়াল প্যাকেজের এসএমএস পাঠাতে পারবে এবং গ্রাহককে অবশ্যই প্রতি মাসের খরচ হিসাব সংবলিত বাংলা এসএমএস প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে প্রদান করতে হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৭ মার্চ টেলিটক একটি আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু করার ঘোষণা দিয়ে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, নতুন প্যাকেজ নীতিমালা একটি মাইলফলক।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মোবাইল অপারেটর ২৯৫টি প্যাকেজ দিয়ে গ্রাহককে বলছে বাছাই করে নেন। এটা একটা পাগলামী। এটা বাণিজ্যিক নীতিতে যায় না। মানুষকে বিভ্রান্ত করে ব্যবসা করা যায় না। গ্রাহকের স্বার্থ বুঝতে হবে। এখন কমিয়ে যে পরিমাণ প্যাকেজ করা হয়েছে সেটিও আর কমিয়ে আনতে হবে। ৩০-৪০টার মধ্যে না আনলে সমস্যা হবে। প্যাকেজ যত কম হবে মানুষ তত বাছাইয়ের সুবিধা পাবে, ব্যবসা বাড়বে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে এমন এক মহাসড়ক তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে পারে।’ আগামীতে ফোর-জি ও ফাইভ-জি সেবা পাশাপাশি চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণে জোর দিতে হবে।’ ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ আনলিমিটেড রাখতে অপারেটরের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান কলড্রপ ও কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে অপারেটরদের প্রতি আহŸান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘বিটিআরসি ডাটার ফ্লোর প্রাইস (দাম বেঁধে দেওয়া) নির্ধারণ করতে উদ্যোগ নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কলড্রপ নিয়ে জনমনে তীব্র অসন্তুষ্টি আছে, তাই অপারেটরদের ফাইবার অপটিক ও তরঙ্গের ব্যবহার বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- গ্রামীণফেনের হেড অব রেগুলেটরি সাদাত হোসেন, রবির চীফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম, বাংলালিংকের চীফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, অ্যামটবের মহাসচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।