পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রতিটি কাজ নজরদারির আওতায় থাকে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি মো. শাহ আলম। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দুপুরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাইবার সচেতনতার গুরুত্ব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। পৃষ্ঠপোষকতা করে বেসরকারি সংস্থা রূপান্তর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি শাহ আলম বলেছেন, ইন্টারনেট পুরোপুরি উন্মুক্ত জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীর প্রতিটি কাজ নজরদারির আওতায় থাকে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। তিনি বলেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরিতে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এটি প্রতিরোধে পারিবারিকভাবে মূল্যবোধ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের প্রতিটি স্তরে যত বেশি আলোচনা করা যাবে, তত সহিংস উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকানো সহজ হবে।
শুধু পুলিশি তৎপরতার মাধ্যমে সহিংস উগ্রবাদ ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান। তিনি বলেন, এ জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গত ২০ বছরে সংঘটিত অপরাধগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সহিংস উগ্রবাদ অন্যতম সমস্যা।
ভিন্ন মতাদর্শের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখানো যাবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী বলেন, ইন্টারনেটে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে সমাজে সহিংসতা ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কিছু শুনেই তা প্রচার করাই মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ইন্টারনেটে কিছু দেখামাত্রই তা অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেটে সহিংস উগ্র আচরণ ঠেকাতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারে সহযোগিতা করলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
ইন্টারনেটের কনটেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী। সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টিতে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে অভিভাবকদের নিয়মিত খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আরিফ সোহেল। সংগঠনটির সভাপতি কাজী মুস্তাফিজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা আপন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম আফতাবুজ্জামান, রূপান্তরের লিয়াজোঁ ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ প্রমুখ। সভার দ্বিতীয় পর্বে সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার ২৯ শিক্ষার্থীকে ‘ট্রুথ অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।